দুই দাবিতে মানববন্ধনে কারিগরির প্রায় ১৮০০ শিক্ষক

আন্দোলনে কারিগরি শিক্ষকরা
আন্দোলনে কারিগরি শিক্ষকরা  © সংগৃহীত

দ্রুত এমপিও এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এনটিআরসির মাধ্যমে কারিগরি শাখায় নিয়োগ পাওয়া প্রায় ১ হাজার ৮০০ শিক্ষক। তারা বলছেন, চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে সারা দেশ থেকে আসা কারিগরি শিক্ষকরা অংশ নেন।

এ সময় ‘বেতন ছাড়া কাজ করানো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’, ‘বিনা বেতনে কাজ করা, চলবে না চলবে না’, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে শিক্ষা অধিদপ্তর’, ‘মাউশি বেতন দেয় প্রতি মাস, কারিগরি বিনা বেতনে খাটায় চৌদ্দ মাস’ ‘এক দফা একদাবি, এমপিও নিয়ে ফিরব বাড়ি’, ‘এমপিও প্রদানে হয়রানি, বন্ধ কর করতে হবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, এনটিআরসির মাধ্যমে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগ পান প্রায় ১ হাজার ৮০০ শিক্ষক। যোগদানের চার মাস পার হলেও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৫ জনকে এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) দিয়েছে। ফলে এসব শিক্ষক পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা চাই যেন, দ্রুত এসব শিক্ষককে এমপিও এবং যোগদান থেকে বেতনের ব্যবস্থা করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, এনটিআরসির পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তারা চাকরিতে যোগ দিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিয়মিত পালন করে আসছেন। অথচ দুই হাজার শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৮৫ জনকে ডিসেম্বরে এমপিও দেওয়া হয়েছে। যারা জানুয়ারিতে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরের বেতন হাতে পাবেন। অন্যদিকে বাকিদের যোগদান থেকে বেতন দেওয়া হয়নি। বকেয়া বেতন দেবেন কি না, সেটারও নিশ্চয়তা নেই।

তিনি আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশন এরই মধ্যে দুবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু বেতনের কোনো অগ্রগতি হয়নি। শিক্ষকরা মানসিকভাবে এখন বিপর্যস্ত হয়ে গেছেন। স্বাভাবিকভাবে তারা পাঠদানও করতে পারছেন না। 

এ সময় কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দুটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে—

১. জানুয়ারির মধ্যে এনটিআরসির পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

২. যোগদান থেকে বেতন দিতে হবে। যাদের এমপিওভুক্তি হয়ে গেছে, তাদের বকেয়া দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ