ইসলামের শাসন কায়েম হলে সবাই শান্তিতে থাকবে: জামায়াত নেতা

বক্তব্য রাখছেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বক্তব্য রাখছেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এদেশে যদি ইসলামের শাসন কায়েম হয় তাহলে এদেশে আবারও সকল জাতি ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’ 

আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবির সপক্ষে’ শীর্ষক সম্প্রীতির সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রীতি সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয় এবং পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয়।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যদি কোনো সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার করা হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যেককেই শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ। প্রত্যেকটা অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের প্রশাসন ভালোভাবে চলে না। আল্লাহর বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করলেই জুলুম নির্যাতন নিষ্পেষণ বন্ধ হয়ে যাবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি বিপ্লব দরকার আছে। মানবরচিত বিধানে ভুল থাকলেও আল্লাহর বিধানে ভুল নাই। সেই বিধান পুনরায় চালু করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা আশা করছি তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি ভালো নির্বাচন দিবেন। তবে অকারণে সময় বাড়ালে কিন্তু তারা আস্থা হারাবে।’

সমাবেশে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী এলবার্ট পি কস্টা বলেন, ‘এমন এক সময়ে সমাবেশটি হচ্ছে যেখানে সম্প্রতি চট্টগ্রামে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে যেটা এতদিন ছিলো না। ১৯৪৮, ১৯৬৪ ও ১৯৭২ সালেও এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো হয়েছিলো। এরশাদের পতনের আগেও এই দাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছিলো। আবার ২০২৪ সালেও এদেশে এই দাঙ্গা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলো কারা করছে? এতদিন যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই এগুলো করছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছে, তখন তারা বলেছে বাংলাদেশে জঙ্গিরা এই দাঙ্গা সৃষ্টি করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বলছে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নাই। এই ঘটনাগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন যারা করে আসছিলো এখনও তারাই করছে।’

সরকার প্রধান অধ্যাপক ইউনূসকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আশে পাশে এখনও স্বৈরাচারের দালালরা আছেই। তাদেরকে যদি সরানো না যায় তাহলে কোনো বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন সম্ভব নয়।’ 

সম্প্রীতি সমাবেশে ভাবুক ও চিন্তক ফরহাদ মাজহার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের নেতা লিংকন দত্ত ও অন্যান্য নেতাসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ