‘বাহাদুর শাহ’ পার্ককে কেন্দ্র করে শত মানুষের কর্মসংস্থান 

নানা আইটেমের দোকানপাট
নানা আইটেমের দোকানপাট  © টিডিসি ফটো

দুইশ বছরের প্রাচীন এ শহর এখন কংক্রিটের ভবনে ঠাসা। মুক্ত বাতাসের অভাবে যেন হাঁসফাঁস অবস্থা এই নগরের। সর্বত্রই শুধু ইট-কাঠ-পাথরের অতিকায় ভবন, যেন আকাশ ছুঁতে চায় সেগুলো। মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নিতে ঢাকার বাইরে যেতে হয় পুরাণ ঢাকার বাসিন্দাদের। সেখানে বাহাদুর শাহ পার্ক যেন পুরান ঢাকায় একখণ্ড বনভূমি। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, গাছের ছায়ায় বসে গা জুড়ানোর অন্যতম জায়গা। বর্তমানে ঐতিহাসিক ‘বাহাদুর শাহ পার্ককে’ ঘিরে গড়ে উঠেছে শত মানুষের কর্মসংস্থান।   

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কের ভিতর ও বাহিরে খাবারের দোকানসহ নানা আইটেমের দোকানপাট গড়ে উঠেছে। সকালের দিকে দোকানগুলোতে কাস্টমারের চাপ কম থাকলেও বিকেলের দিকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে, চলে রাত পর্যন্ত বেচা-কেনা।   

ফল বিক্রেতা মঞ্জুরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি প্রায় ১৬ থেকে ১৭ বছর এখানে ব্যাবসা করি। ভালোই বেচা-কেনা হয়।তবে জুলাই বিপ্লবের পর ব্যবসা ভালো হচ্ছে। 

চা বিক্রেতা মছলেদ্দিন জানান, পার্কে চা দোকান দিয়ে ভালোই বেচা-বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে বিক্রি বাড়তে থাকে। এখানে ব্যবসা করে আমার সংসার ভালোই চলছে। 

ফুল বিক্রেতা আল-আমীন জানান, আশেপাশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় ফুলের বেচা-কেনা ভালো হয়। পান বিক্রেতা রিনা বেগম বলেন, এখানে প্রায় ৪ বছর থেকে দোকান করছি।। মোটামুটি ভালোই বিক্রি হয়। আগে চাঁদা নেওয়া হতো, জুলাই বিপ্লবের পর এখন আর নেওয়া হয় না।


সর্বশেষ সংবাদ