‘সন্তান হত্যার বিচার আল্লাহ ছাড়া কার কাছে চাইব?’

নওশের আলী ও জাবির
নওশের আলী ও জাবির  © সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বেসরকারি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির। সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে যান তিনি।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলী গ্রামের কৃষক নওশের আলীর সন্তান জাবির। জাবিরকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল নওশের আলীর। সন্তানের কথা ভেবে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। নওশের বলেন- ‘আল্লাহ, কী চাইছিলাম, আর কী হলো! এর বিচার আল্লাহ ছাড়া কার কাছে চাইব?’

জানা গেছে, গত ১৯ জুলােই রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন জাবির। বন্ধুরা তাকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টায় না ফেরার দেশে পারি জমান জাবির। শনিবার জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের খালু ইসমাইল জানান, জাবিবের পিঠে ও পায়ুপথের উপরিভাগে দুটো গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ