ঢাবি ছাত্র সাইয়েদের এক পোস্টে আলোচনায় রাফসানের পরিবার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:২১ PM
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম রাফসান দ্য ছোট ভাই। সম্প্রতি এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর পোস্টের মাধ্যমে তার বাবা-মায়ের আড়াই কোটি টাকার ব্যাংকঋণের একটি তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সাইয়েদ আবদুল্লাহ নামের ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী গত সোমবার (১৩ মে) প্রথম ব্যাংকঋণের তথ্যটি প্রকাশ করে। তার এই পোস্টের পর থেকে তুমুল আলোচনায় চলে আসে রাফসান এবং তার পরিবার। পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক চলছে। সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে আর চুপ থাকতে পারেননি রাফসান। নিজের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে দিলেন বিশদ বিবরণ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে নিজের ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে রাফসান বলেন, ‘আমি নাকি ২ কোটি টাকার একটা গাড়ি কিনেছি, আর আমার বাবার নাকি ৩ কোটি টাকার লোন। এখানে কিছু ভুল তথ্য আছে। আমার এই গাড়ির দাম ২ কোটি টাকার আশপাশেও না।’ বাবা-মায়ের ঋণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে রাফসান বলেন, ‘এটা আদালতের বিচারধীন। সেখান থেকে নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? কারণ, আদালত তো এখনো নির্ধারণ করে দেননি কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনারা জানেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে কিছু জিনিস বন্ধক রাখতে হয়। আমরা একটা জমি বন্ধক রেখেছি, সেটার দাম যদি ১০ টাকা হয়, আমরা ঋণ নিয়েছি এক টাকা। তারা এই ঋণের পরিবর্তে আমাদের ১০ টাকার জিনিসটা নিতে চায়। তাই আমরা আদালতে গিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নিমিষেই ‘ঋণখেলাপি’ পিতার পুত্র বনে গেলেন গর্বিত রাফসান
তার এই ভিডিওর পরে সাইয়েদ আবদুল্লাহ নামের ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী ৩১ মিনিটের আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি রাফসানের পোস্ট করা ভিডিওর ভিত্তিতে নানা অসঙ্গতির দিকগুলো যুক্তি দিয়ে তুলে ধরেছেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, তারা মহামারীর আগেই ঋণ করেছে। সুতরাং করোনায় ব্যবসা খারাপ হওয়ার যুক্তি টিকেনা। তারা আদালতকে সহায়তা করেনি। তারা চেষ্টা করেছে আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা লোপাট করতে। আমরা কাদেরকে আইডল ভাববো, সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিৎ। পেশাগত পরিচয় দিয়ে কিংবা আবেগ দেখিয়ে সত্য আড়াল করার চেষ্টা স্রেফ নির্বুদ্ধিতা নই, অসাধু মানসিকতার পরিচয়।
কে এই সাইয়েদ আবদুল্লাহ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সাইয়েদ বিন আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে ঢাবি বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থেকে (ঘ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। এর আগে পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পাবনার আলহেরা একাডেমি থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন।