শুভ বাংলা নববর্ষ: বাইডেন

জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন
জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন  © ফাইল ছবি

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বাইডেন দম্পতি এই শুভেচ্ছা জানান।

টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী যারা বৈশাখী, নবরাত্রি, সংক্রান এবং এই সপ্তাহে আসন্ন নববর্ষ উদযাপনে শরিক হবে তাদের জন্য জিল এবং আমি উষ্ণতা,  সৌহার্দ্য ও আনন্দ কামনা করি। শুভ বাংলা, খেম, লাও, মিয়ানমারিজ, নেপালি, সিংহলি, তামিল, থাই এবং বিষু নববর্ষ!’।

বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ আজ (১৪ এপ্রিল)। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি- বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি।

পহেলা বৈশাখ সব সঙ্কীর্ণতা, কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোক উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুল-ত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দিয়েছে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং দেশজুড়ে রয়েছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বৈশাখী র‌্যালি আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে নববর্ষ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সব সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেল রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে।


সর্বশেষ সংবাদ