ঢাকার যেসব এলাকায় ৬০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাবে গরুর মাংস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৪ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৪ PM
আসন্ন রমজান উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ৩০টি স্থানে ৬০০ টাকা কেজি দরে গরু ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ-মাংস, দুধ-ডিম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান এ তথ্য জানান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জানান, ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস, ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি (ড্রেসড) ২৫০ টাকা কেজি, দুধ ৮০ টাকা লিটার এবং প্রতিটি ডিম সাড়ে ১০ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন কম দামে রাজধানীতে ৫ হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।
আবদুর রহমান বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থায় রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে সুলভ মূল্যে দুধ-ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারে আরও পাঁচটি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রি ব্যবস্থা চালু থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ ভাতের অভাবে, খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না, আমরা কষ্ট হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের জন্য কাজ করছে। তার নেতৃত্বে আমরা আরও সমৃদ্ধশালী হব।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে মাছ থাকবে।
আরও পড়ুন: রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো: নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল।
স্থায়ী বাজার: মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
এদিকে মৎস্য অধিদফতরের তত্ত্ববধানে প্রথমবারের মতো আসন্ন রমজান মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চারটি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রতিটি স্পটে অন্তত ৩০০ কেজি মাছ থাকবে।
এরমধ্যে ২৪০ টাকা কেজি দরে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ১০০ কেজি রুই, ৩০০ গ্রামের ১৩০ টাকা কেজি দরে ১০০ কেজি তেলাপিয়া, এক থেকে দেড় কেজির পাঙ্গাস ১৩০ টাকা দরে ৭৫ কেজি, ২০ পিসে ১ কেজি ওজনের পাবদা মাছ ২৫ কেজি বিক্রয় করা হবে। তবে চাহিদার নিরিখে মাছ বিক্রির পরিমাণ পরবর্তীতে বাড়ানো হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কেজি মাছ কিনতে পারবেন।
যেসব স্থানে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন: বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট; মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ); সেগুন বাগিচা বাজার; ও মেরুল বাড্ডা বাজার। প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রির কার্যক্রম চলবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন: মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার); যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট); মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণার) ও পলাশী মোড়-এ এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।