বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলিতে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৮ PM , আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১০ PM
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আতঙ্কে সীমান্তঘেঁষা এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ। সকালেও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশ্রিত রোহিঙ্গারা।আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যায়। আজ আবারও ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিম কুলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ধুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্থানীয় জনসাধারণ যদি নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে চলে অন্যত্র চলে আসে তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ত্রাণ সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।