বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪২ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪২ PM
গোপালগঞ্জে ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন আগের রাতে ফাঁস ও বিক্রি করার অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়ে অভিভাবকদের যোগাযোগ করতে বলেন। অভিভাবকরা এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠালে বিষয়টি নজরে আসে। বরখাস্ত হওয়া ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১নং দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩নং ক্লাস্টারভূক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে সেই পরীক্ষার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও খবর পেয়ে গণিতের প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ‘টাকা ছাড়া এমপিও হয় না’—মতিঝিল মডেল কর্তৃপক্ষের অডিও ফাঁস
অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেন। অভিভাবকদের ওই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন। কয়েকজন অভিভাবক নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করলে তখন ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে ওই শিক্ষক প্রস্তাব দেন। পরে টাকা দিলে সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিত প্রশ্ন দেন ওই শিক্ষক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নে ৩নং ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার পর ইউএনও ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮ এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।