পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ঘোষণা

  © ফাইল ফটো

দেশের সকল পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সভায় আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের কথা বিজিএমইএ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এস.এম. মান্নান (কচি), এছাড়া অন্যান্য সহসভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, কোভিড অতিমারির পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে ক্রয়াদেশ কমে যায়। সম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। এ কারণে বিজিএমইএতে পোশাকশিল্প মালিকদের সমন্বয়ে একটি সভা হয়।

বিজিএমইএর ৪ সিদ্ধান্ত

(১) এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত সকল পোশাক শিল্প কারখানাতে সকল ধরণের নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকবে। প্রতিটি কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ কথাটি লিখে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিতে হবে।

(২) যেসকল কারখানায় অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসকল কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিকটস্থ থানায় প্রমানস্বরূপ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ মামলা রজ্জু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা রজ্জু করা যাবে। মামলা করার সাথে সাথে এর একটি কপি মেজর মো. সাইফুল ইসলাম, পিএসসি, সিএসসিএম (অবঃ), সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব বিজিএমইএর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

(৩) যেসকল কারখানার শ্রমিকগণ কারখানায় প্রবেশ করে কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বা কারখানা ছেড়ে বেড়িয়ে যাবে, সেসকল কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩(১) এর বিধান মোতাবেক কারখানা বন্ধ করে দিবেন।

(৪) যেসকল কারখানায় অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেসকল ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে) অতিসত্ত্বর মো. জাকারিয়া, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বিজিএমইএ'র নিকট প্রেরণ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ