শতাধিক মামলার বিচারে হঠাৎ দ্রুতগতি, দিন-রাত চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৯ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪৫ PM
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিরোধী দলের চূড়ান্ত আন্দোলন যেমন তীব্রতা পাচ্ছে একইভাবে বিএনপি নেতাদের মামলার বিচারকাজও চলছে দ্রুতগতিতে। মামলার কার্যক্রমে এমনই গতি– দিনে তো বটেই, রাতেও চলছে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। গতি পাওয়া এমন মামলার সংখ্যা শতাধিক। এ পটভূমিতে সাজাভীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন বিএনপির অনেক প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের পোড়খাওয়া নেতা।
সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা দেড় লক্ষাধিক। এর মধ্যেই গতকাল শনিবার আইনজীবীদের মহাসমাবেশে অগ্নিসন্ত্রাসীদের মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জেলায় জেলায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে– সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’
অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই প্রমাণ মিলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ ধরনের নির্দেশনায় এখন আরও দ্রুতগতিতে আদালত বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে ফরমায়েশি সাজা দিতে উৎসাহিত হবে।’
সবার বিরুদ্ধে চলমান মামলা শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ২, বরকত উল্লাহ বুলুর ১০, আমান উল্লাহ আমানের ১৩, রুহুল কবির রিজভীর ২০, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ২৭, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের ৪৭, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ২৫, সাইফুল আলম নিরবের ৭৩, রাজীব আহসানের ৩৯, মামুন হাসানের ৭৯, এস এম জাহাঙ্গীরের ৪০, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর ৩২, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের ২৪ ও ইসহাক সরকারের ৩১টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
যেভাবে চলছে দ্রুত বিচারকাজ
গত ৩ অক্টোবর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪৩৫/১৯ মামলার ধার্য দিনে সকাল ৯টায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস জানতে পারেন, বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালত বসবে না। ওই আদালতের নির্ধারিত অন্যসব মামলার পরবর্তী তারিখ জানালেও তাদের অন্য আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়।
বিরোধী নেতাদের আইনজীবীরা বলেন, সরকার সাক্ষ্য শেষ করে দ্রুত রায় দিতে চায় বলে রাজনৈতিক মামলার হাজিরা ৫ থেকে ৭ দিন পরপর ধার্য করছে। আর রাত অবধি সাক্ষ্য নেওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। একই দিন একটি আদালত ১৯ মামলার সাক্ষীদের জবান রেকর্ড করার ঘটনা নজিরবিহীন। দক্ষিণখান থানার ২০১৩ সালের এক মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সাক্ষ্য কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ মামলায় বরকতউল্লাহ বুলু, এসএম জাহাঙ্গীরসহ ৮৬ জন আসামি। গত ১৯ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত এ মামলায় ৮ সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়।