অবশেষে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নেতানিয়াহুর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ AM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ AM
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা জানান। এর আগে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর তাঁর যুদ্ধবিরতি চুক্তি উত্থাপন করলে তা অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের নেতানিহুর মন্ত্রিসভা। বুধবার থেকে এ চুক্তি কার্যকরের আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি লেবাননের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত এবং হিজবুল্লাহর যে কোনো লঙ্ঘনের জন্য প্রতিক্রিয়া জানাবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িঘরে ফিরে যাবেন।
লেবাননে হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে নেতানিয়াহু বলেন, হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটিয়ে দিয়েছে। তারা কয়েক দশক আগের অবস্থায় চলে গেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘হিজবুল্লাহ যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে, আমরা তাদের ওপর হামলা চালাব।’
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টা দিচ্ছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মানে হলো ইরানের হুমকি মোকাবিলায় এখন বেশি জোর দেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে রয়টার্স লিখেছে, ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলি এবং লেবাননের কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘাত অবসানের পথ খুলছে। একজন ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বো হাবিব আশা প্রকাশ করেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে দু পক্ষই।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, রাতের মধ্যে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবে। ইতালিতে জি ৭ বৈঠকে বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আশা করি আজ রাতের মধ্যে আমরা এই যুদ্ধবিরতি করব।
এর আগে গত রোববার লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগত অনুমোদন দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল–হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এরপর লেবাননে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি লেবাননের ভেতরে স্থল অভিযানও শুরু করেছে।