হিরো আলমের ওপরে হামলার ইস্যু মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে

মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার (বাঁয়ে) ও মারধরের শিকার হিরো আলম (ডানে)
মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার (বাঁয়ে) ও মারধরের শিকার হিরো আলম (ডানে)  © সংগৃহীত

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ আহ্বান জানান।

সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে দুটি প্রশ্ন করা হয়। এতে বলা হয়, আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া সপরের পর বাংলাদেশ সরকার বিরোধী পার্টির ওপর হামলায় ফিরে গেছে। আমরা এই গতকালই দেখেছি যে বিরোধী দলের বয়কট করা একটি উপনির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এখন হাসপাতালে আছেন। আর ভোট পড়েছে ১০ ভাগেরও কম।

আরও বলা হয়, তাহলে আমরা কিভাবে বিশ্বাস করব যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবেন? কারণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ছিল না এবং এই উপনির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ নয়, প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ প্রেক্ষাপটে আপনার অভিমত কী? আপনারা কি বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন?

জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, আমি বলছি যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, আগেও আমরা বলেছি, আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।

আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ২ জন আটক

নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানকে নিয়েও একটি প্রশ্ন করা হয় ব্রিফিংয়ে। প্রশ্ন করা হয় যে সফররত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের এক এমপির সামনে বিক্ষোভকারী এক বিরোধী কর্মীর বাংলাদেশে অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে হামলা হয়েছে, তার ভাই, তার মা ও পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছে। আর ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি তাদের ফেসবুকে লাইভ করে বলছে যে দেশের বাইরে কেউ গলা চড়ালে তারা আক্রান্ত হবে। অর্থাৱ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে কথা বললেও বা সরকারি দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কিংবা যুক্তি দিলে তাদের গ্রামের বাড়িও নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

এর জবাবে মিলার বলেন, আমি এই মাত্র যা বললাম, তা আবারো বলছি। আপনি যেমনটি বললেন, তেমন সহিংসতার স্থান গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নেই।

এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে একদল যুবক প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালায়। তার ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ