পাটক্ষেতে সাপের কামড়, সাপ নিয়েই হাসপাতালে কৃষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৫০ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৫০ PM
পাটক্ষেতে নিড়ানির কাজ করার সময় হঠাৎ ডান হাতের আঙুলে কোনো কিছুর কামড় অনুভব করেন কৃষক জাহিদ প্রামাণিক (৩০)। নিজের পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন।তাকিয়ে দেখতে পান ডোরাকাটা একটি সাপ। এরপর পাশে থাকা লাঠি দিয়েই সাপটি মারেন, আর মৃত সাপটি পলিথিনে নিয়ে চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সোমবার (৩ জুলাই) সকালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হওয়ার পর জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক সাপটিকে রাসেলস ভাইপার হিসেবে শনাক্ত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কৃষক জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলেন।
কৃষক জাহিদ সাপটি পলিথিনে নিয়ে বাসে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে যান। সেখানকার চিকিৎসকও সাপটি রাসেলস ভাইপার বলে দাবি করেন। পরে জাহিদকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন তারা।
হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল মামুন খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে জাহিদকে সাপে কাটে। পরে জাহিদ ওই সাপটিকে মেরে পলিথিন ঢুকিয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে সাপে কাটার চিকিৎসা না থাকায় তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। জাহিদ সঙ্গে করে সাপটিকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে যান। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষক জাহিদকে যে সাপটি কামড় দিয়েছিল তিনি ওই সাপটি মেরে পলিথিনে করে নিয়ে এসেছেন। সাপটি রাসেলস ভাইপার। এটা খুবই বিষাক্ত সাপ। তিনি হাসপাতালে আসেন বেলা ১১টায়। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দিয়েছি। পরে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।