বাগানে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করলেন মাদরাসা শিক্ষক

শিশু ধর্ষণ
শিশু ধর্ষণ  © প্রতীকী ছবি

ভোলার লালমোহনে নূরানী মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মেডিকেল রিপোর্টে ওই শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. জহির ওরফে হক সাহেব (৫০) লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ তারাগঞ্জ এলাকার মো. শফিউল্লাহর ছেলে। তিনি লালমোহন পৌর শহরের পাকার মাথা এলাকার দক্ষিণ পাশে খাদিমুল ইনসান নূরানী মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার লালমোহন পৌরশহরের বাসিন্দা। ঘটনার পর মাদরাসা বন্ধ করে পালিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন: যোগদানের দিন থেকে এমপিও কার্যকর চান কারিগরি শিক্ষকরা

বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পৌর শহরের খাদিমুল ইনসান নূরানী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই শিশু। অভিযুক্ত জহির ওরফে হক সাহেবও ওই মাদরাসার শিক্ষক। গত বুধবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জহির নামের ওই শিক্ষক শিশুটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মাদরাসা থেকে তাকে সঙ্গে নিয়ে বের হন। এরপর লালমোহন করিমুন্নেসা-হাফিজ মহিলা ডিগ্রি কলেজের কাছাকাছি এসে শিশুটিকে সুপারি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশু বাসায় গিয়ে কান্না করতে করতে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।

ওসি মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবারের লোকজন শুক্রবার থানায় আসলে শিশুর মেডিকেল টেস্টের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিকেল টেস্টে শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এরপর তারা ভোলা থেকে এসে শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা করেন। তবে এরই মধ্যে আত্মগোপনে চলে যান অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তবুও আমরা আসামি গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।


সর্বশেষ সংবাদ