বিদ্যুৎ নিয়ে যে সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ০৮:৫১ PM
১৫ দিন পর দেশে বিদ্যুতের কষ্ট কমে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এরমধ্যে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে আসবে। আগামী দুই দিনে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে উল্লেখ করে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে জানতেন বলে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছেন। ৬ দফাই পরবর্তীতে এক দফা দাবিতে পরিণত হয়, যেটা ছিল স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই এ দেশের জনগণের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে। কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম হয়েছিল বিএনপির? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে উর্দি খুলে রাজনীতির খায়েশ জাগে তাদের। তখন হ্যাঁ-না ভোটের প্রচলন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিল। ভোট চুরি করা ছাড়া তখন ক্ষমতার সুযোগ ছিল না জিয়াউর রহমানের।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি- এসব শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ। যেটা জিয়াউর রহমান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার আওয়ামী লীগই করেছে। ভোটের অধিকার নিয়ে দেশের জনগণ এখন সচেতন। কেউ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না। খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। ভোট চুরি করে ১৯৯৬ সালে জোর করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছে বিএনপি। এখন তাদের মুখে ভোট আর গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপি আজ ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিল? আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। সুষ্ঠু ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি।
তিনি বলেন, দুইবার ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছে। ওরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তা শুনলে আমাদের হাসি পায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে। আর খালেদা-তারেক জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার দেশের মানুষ। বিএনপির দুঃশাসন-দুর্নীতির কথা মানুষ ভুলে যায়নি। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন আর দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলাই ছিল তাদের কাজ। এখন তারা জ্বালাও-পোড়াও করলে, অগ্নিসন্ত্রাস করলে, মার্কিন ভিসা পাবে না। যাদের কথায় তারা নাচে, বিএনপিকে তারাই ভিসা দেবে না।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিএনপি মনে করে কোথাও থেকে অন্য কেউ এসে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দেবে না। ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। একমাত্র জনগণ ক্ষমতায় বসাতে পারে। দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক, চাপের কাছে এদেশের মানুষ মাথা নত করবে না। আমরাই দেশের মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করবো।