বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লাইভে এসে জবাব দিলেন কিশোর

কিশোর কুমার দাস
কিশোর কুমার দাস  © সংগৃহীত

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা কারণে আলোচিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এই সংস্থাটি। গতকাল রবিবার বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া পোশাক কিনে তা দিয়ে অলংকার তৈরির কিছু ছবি পোস্ট করে বিতর্কের মুখে পড়েছে বিদ্যানন্দ। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও অনেকের সমালোচনার মুখে পড়েছে।

এ অবস্থায় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস আজ সোমবার রাতে ফেসবুকের এক লাভে এসে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

সাম্প্রতিককালে বিদ্যানন্দ নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হচ্ছে এবং তার কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে সবার সামনে বাধ্য হয়েই এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যানন্দ যখন শুরু করা হয়েছিল তখন পরিকল্পনা ছিল খুব ছোট-খাটো-ভাবে শুরু করা; এটা একটা আনাড়ি প্রতিষ্ঠান হবে-সেভাবে শুরু করা। তিনি বলেন, আমি তারুণ্যে বিশ্বাস করি এবং আমি এখনো চাই, এটি এভাবেই থাকুক।

জমি নিয়ে বিতর্ক এবং আলোচনার বিষয়ে কিশোর বলেন, আমাদের জমিগুলো লিজ নেওয়া এবং তাতে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এসব জমি ফাউন্ডেশনের কাজে ব্যবহার না করা হলে এসব জমির দানপত্র বাতিল হবে/ বা দাতার কাছে ফেরৎ যাবে। জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জমিগুলো সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হলে সেসব জমি দাতারা ফেরৎ নিতে পারবেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংস্থাটির বিভিন্নস্থানে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কথা কলেন।

সংগঠনের ফান্ডিং এবং খরচ সংক্রান্ত বিবরণের পর কিশোর কথা বলেন আলোচিত ‘মজিদ চাচা’ ইস্যুতে; তিনি বলেন, আমরা নাম সংক্রান্ত ঝামেলা এড়াতে নামগুলো রুপক অর্থে ব্যবহার করি। এককার একজন সেবা-গ্রহীতার নাম একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদের নামের নামের সাথে মিল থাকায় আমরা তা নিয়ে বিতর্কমুক্ত থাবতে এরকমটা করেছি। শুধু মজিদ চাচা না এরকম আরও নামের মিল রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এছাড়াও তিনি কথা বলেন, একই ছবি, যাকাত এবং  বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতার বিষয়ে। তিনি বলেন, যারা হিসেব নিয়ে প্রশ্ন করছেন আপনারা এ রিপোর্ট নিয়ে কোন অডিট ফার্মে যান; তদের কাছ থেকে মূল্যায়ন নিন। এছাড়াও তিনি আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন এবং তার আশা এবং হতাশার কথা জানান।


সর্বশেষ সংবাদ