পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ খণ্ডাতে ভূমিকা রাখেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দুদকের কমিশনার ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
দুদকের কমিশনার ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু হতে যাচ্ছেন পরবতী রাষ্ট্রপতি। তিনি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এখন রয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

সকালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নাম জমা দেয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। পরে ওবায়দুল কাদের রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে মনোয়নপত্র জমা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গর্বের পদ্মা সেতুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্পই ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিল। তবে তিনি বুদ্ধিদিপ্ত নানা পদক্ষেপ নিয়ে পদ্মা সেতুর সেই কালিমা দূর করতে দুর্নীতির অভিযোগ খণ্ডাতে ভূমিকা রাখেন। তাঁর একটি লেখাতেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন তিনি।

জানা গেছে, গর্বের পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের সাক্ষর বহন করে। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী ঋণচুক্তি বাতিল করেছিল। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে এ অবকাঠামো নির্মাণ করে অসম্ভবকে সম্ভবে করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি ও এডিবির সঙ্গে পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই সময়ে ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঋণচুক্তিসমূহ বাতিল করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।

আরো পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হতে যাওয়া কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

যদিও তখন বিশ্ব ব্যাংক জানায়, তাদের তদন্ত দল দুদকের সঙ্গে কাজ করতে চায়। কিন্ত আইনত সুযোগ না থাকায়  দুদক অপারগতা প্রকাশ করি। তবে বিশ্ব ব্যাংক দুদককে লজিস্টিক, প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তার কথা জানায়। দুদক এতে সম্মতি দেয়।

পরবর্তীতে থেকে দুদক ও বিশ্ব ব্যাংকের তদন্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ ও মামলা নিষ্পত্তিসহ এ সংক্রান্ত অভিযোগ খণ্ডাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তৎকালীন দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি এ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবেই রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে।

নানা প্রক্রিয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সর্বশেষ সংবাদ