রাষ্ট্রপতি হতে যাওয়া সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর আদ্যোপান্ত

রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু  © ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হওয়া অনেকটা নিশ্চিত। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দুদকের সাবেক কমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যানও।

তাঁকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে মনোয়নপত্র জমা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনার শহরের জুবলি ট্যাঙ্ক পাড়ার (দিলালপুর) সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। যুবলীগেরও সভাপতি ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদ করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। সাড়ে তিন বছর কারাভোগও করেন।

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। ২৫ বছর চাকরির পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের দু’টি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও যুক্ত আছেন তিনি।

এর আগে ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আরশাদ আদনান রনি নামে এক ছেলে রয়েছে তার। স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর নেন। বর্তমান প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে দলটি যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তিনি দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। সে হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁর রাষ্ট্রপতি হওয়া অনেকটা নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি হয় দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদ। এ পদে তাকে মনোনীত করেছিল দলটি। দলের গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) (ক) ধারা মোতাবেক তাকে এ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ