বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করছেন শিক্ষক
শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করছেন শিক্ষক  © সংগৃহীত

আজ বুধবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সারাদেশের স্কুল ও কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করে আসছে। এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘শিক্ষা পুনরুদ্ধারের প্রাণই হলো শিক্ষক’। 

শিক্ষক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন দিবসটি উপলক্ষে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করবে। সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সেমিনার কক্ষে (রমনা) সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করবেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বাশিপ সভাপতি ও স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: মেডিকেলে ভর্তি হতে না পারা শাপেবর হয়েছে জেসি ডেইজির

দিবসটির পটভূমিতে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ইআই) ও এর ৪০১টি সংগঠন এ দিবসের ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এ সংগঠন শিক্ষা পেশার অবদানকে তুলে ধরে প্রতিবছর জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালায়।

এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সব দেশে স্বীকৃতি এবং উদযাপিত হওয়া উচিত। শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সুরক্ষায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশ গৃহীত হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম।

পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম অনুষ্ঠানে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করা হয়। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষকরা মোটা দাগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন শুরু করেন।

ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে তা’ হয়ে আসছে। ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা, উপলব্ধি সৃষ্টি ও শিক্ষকদের ভূমিকার স্বীকৃতিস্মারক হিসেবে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক বিপর্যয় বা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে শিক্ষকরা তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ