আত্মগোপনে ছিলেন মরিয়মের মা রহিমা: পুলিশ

রহিমা বেগম
রহিমা বেগম  © সংগৃহীত

খুলনার মহেশ্বর পাশা এলাকার নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব। নিখোঁজের ২৯ দিন পর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার (৫৫) বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনার দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক লুৎফুল হায়দারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি  দল বোয়ালমারী থানার পুলিশের সহযোগিতায় একটি অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা পুলিশ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে রহিমা বেগম যে বাড়িতে ২৯দিন আত্মগোপনে ছিলেন সেই বাড়ির তিনজনকে। তারা হিরা বেগম (৫০), তার ছেলে আলামিন বিশ্বাস (২৫) ও রাহেলা বেগম (৪৫)। তারা এখন খুলনা পুলিশের জিম্মায় রয়েছেন।

বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ভাগিনা জয়নাল জানান, খুলনা শহরের মীরেরডাঙ্গা সোনালী জুটমিলে চাকরির সুবাদে খুলনা নগরের মহেশ্বরপাশা এলাকার নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তার মামা কুদ্দুস বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক করুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে

জয়নাল বলেন, ওই ঘটনার পর তিনি খুলনা মহানগরের ২ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমই ওই নারী।

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। । এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোরগোল পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।


সর্বশেষ সংবাদ