‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল’ বললেন রহিমা বেগম

রহিমা বেগম
রহিমা বেগম  © সংগৃহীত

উদ্ধারের ১৬ ঘণ্টা পর রহিমা বেগম বললেন , ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল।' তার দাবি, নিজ বাসার নিচ থেকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত মুখে কাপড় বেঁধে অপহরণ করে তাকে। 

সম্প্রতি তার নিখোঁজের খবরে আলোচনায় আসেন রহিমা বেগম ও তার  মেয়ে মরিয়ম মান্নান। ২৭ আগস্ট দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার। মরিয়ম মান্নান মাকে খোঁজার আকুতি নিয়ে ফেসবুকে বেশ কিছু সংখ্যক পোস্ট শেয়ার করেন, এক সময় এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল টপিকে পরিণত হয়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার করা একটি মরদেহকে মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নানসহ রহিমা বেগমের তিন মেয়ে। 

কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর)  ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হলে। এরপর পুলিশের একটি দল রাত ২টার দিকে রহিমা বেগমকে নিয়ে খুলনার দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়।  পুলিশ জানায়, রহিমা বেগমের খুলনার বাড়িতে বেশ কয়েক বছর আগে কুদ্দুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুরে। তার বাড়িতেই রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন।

উদ্ধার হওয়ার পর রহিমাকে সোনাডাঙায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রহিমা বেগমকে বুঝে নেয় পিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রহিমাকে আনার পর তেমন কোনো কথা তিনি বলেননি। সকালে পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে চাননি। কী কারণে তিনি এমন করছেন বুঝতে পারছি না।' 

আরও পড়ুনঃ মরিয়মের সঙ্গে দেখা করতে ‘রাজি নন’ মা রহিমা

এরপর বেলা ১টার দিকে সন্তানের মুখোমুখি করা হয় রহিমা বেগমকে। এ সময় তিনি দাবি করেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিলো। পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বেলা আড়াইটার দিকে এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, 'রহিমা বেগমকে অপহরণের অজ্ঞাতস্থানে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন। জমি-জমার বিরোধ থাকা কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তাকে একহাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়।'

রহিমা বেগমের জানিয়েছেন, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকছেদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তার কাছে কোন মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য যাচাই বাছাই করছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ