এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না এক জেলার ১২ শতাধিক ছাত্রী

ছাত্রী
ছাত্রী   © ফাইল ফটো

জয়পুরহাটে গত দুই বছরে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২ শতাধিক ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। করোনাকালে দীর্ঘ ১৭ মাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ঝরে পড়া বেশির ভাগ ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে জেলার ১৫৭টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় ১১ হাজার ৬৪৭ জন শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৬২৫ জন ছাত্র ও ছয় হাজার ২২ জন ছাত্রী ছিল। ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৯ হাজার ৬৫৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে চার হাজার ৯২৬ জন ছাত্র ও চার হাজার ৭৩২ জন ছাত্রী। অর্থাৎ গত দুই বছরে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে ৬৯৯ জন ছাত্র ও এক হাজার ২৯০ জন ছাত্রী। তাদের মধ্যে ১২ শতাধিক ছাত্রীই বাল্যবিবাহের কারণে আর বিদ্যালয়ে ফিরতে পারেনি। অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষা জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বেশির ভাগ ছাত্রের।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ‘অভিভাবকরা মসজিদের ইমাম দিয়ে গোপনে আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোট নষ্ট হওয়ার ভয়ে বাল্যবিবাহে বাধা দিচ্ছেন না। ফলে জনসচেতনতা ছাড়া বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব নয়। ’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য শিক্ষকরা কাজ করছেন। তার পরেও এ ব্যাপারে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ’


সর্বশেষ সংবাদ