দুর্বল শিক্ষার্থীদের ব্যবস্থাপনা 

ড. জাহাঙ্গীর এইচ মজুমদার
ড. জাহাঙ্গীর এইচ মজুমদার  © ফাইল ফটো

গ্রিক পণ্ডিত প্লেটো যে কয়টি অভিমতের কারণে সমালোচিত হয়েছেন, তারমধ্যে একটি হলো- ত্রুটিযুক্ত শিশুদের আদর্শ রাষ্ট্র থেকে ছেটে ফেলা (রিপাবলিক III. 410a এবং V. 460c)। তাঁর এই অভিপ্রায় অমানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রসঙ্গটির অবতারণার কারণ হলো– গত বছর রাজধানীর একটি নামী প্রতিষ্ঠান বার্ষিক পরীক্ষায় দুবার সুযোগ পেয়েও উত্তীর্ণ হতে না পারায় ২৩ শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এদের মধ্যে ষষ্ঠ আর নবম শ্রেণিরই ২২জন। যদিও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে প্রতিষ্ঠানটিকে নিবৃত্ত করেছিল। তবে, দুর্বল শিক্ষার্থীদের এভাবে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা প্লেটোর ত্রুটিপূর্ণ শিশুদের অপসারণের মতো। পরীক্ষার মাধ্যমে ছেঁকে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে, শুধু সবলদের নিয়ে কাজ করার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্ব আর থাকে না। এক মাপের জুতা যেমন সবাই পরতে পারে না, তেমনি সব শিক্ষার্থী ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিসিএস ক্যাডার বা ব্যারিস্টার হবে না। দো-আঁশ মাটিতে চাষাবাদ ভালো হলেও পাথুরে জমিতে তেমিনটি হয় না। তার মানে এই নয় যে, পাথর কোনো কাজে লাগে না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সম্ভাবনা রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানের কাজ হলো সে সম্ভাবনাকে চিহ্নিত করা ও তা বিকাশে ভূমিকা রাখা, যাতে শিশুটি বড় হয়ে পরিপূর্ণ জীবনের স্বাদ পেতে পারে।

পরিপূর্ণ জীবন বোঝাতে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও মনস্তত্ত্ববিদ শিগেহিরো ঐশি তিনটি প্যারামিটারের উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো- সুখী জীবন, অর্থবহ জীবন, ও মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবন। সুখী জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো - আনন্দ, স্বস্তি ও নিরাপত্তা। অর্থবহ জীবনের জন্য প্রয়োজন - তাৎপর্য, উদ্দেশ্য, সঙ্গতি, বা শৃঙ্খলা। আর মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনের জন্য তাৎপর্যময় উপাদানগুলো হলো – বৈচিত্র্য, আগ্রহ, দৃষ্টিভঙ্গি, ও পরিবর্তন। আর জীবনের এ তিনটি প্যারামিটারের জন্য যথাক্রমে প্রয়োজন – অর্থ, সময়, সম্পর্ক, ও ইতিবাচক মানসিকতা; নৈতিক মূ্ল্যবোধ, ধারাবাহিকতা, সম্পর্ক, ও ধার্মিকতা; এবং কৌতূহল, সময়, শক্তি, ও স্বতঃস্ফূর্ততা। আমাদের এখানে পড়াশোনা করে বেশিরভাগই আনন্দ, স্বস্তি ও নিরাপত্তা পেতে চায়। অর্থাৎ, সবাই সুখী জীবন চায়। সুখী জীবনের নিশ্চয়তা বিধান করতে যেয়ে অনেকক্ষেত্রে অর্থবহ জীবন, ও মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবন উপেক্ষিত থেকে যায়। 

মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনের উপস্থাপনা দেখা যায় থ্রি ইডিয়টস নামে বলিউডের একটি সিনেমায়। সিনেমাটিতে তিন বন্ধুর একজন, র্যাঞ্চো সার্টিফিকেটকে জলাঞ্জলি দিয়ে, মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে বিজ্ঞানী হয়েছে। অন্য এক বন্ধু, ফারহান ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়েও শেষ পর্যন্ত তার ভালো লাগার পেশা ফটোগ্রাফিতে যায়। শখকে পেশা বানানোর বিষয়টি তার মধ্যবিত্ত মা-বাবাকে বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। সে বলেছিলো – তার হয়তো বড় বাড়ি কিংবা দামি গাড়ি হবে না, তবে দুর্নিবার কৌতূহল ও স্বতঃস্ফূর্ততা তাকে সুখ ও মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিবে। এটাকে যদি আমরা শিগেহিরো ঐশির পরিপূর্ণ জীবন বা জীবনের পরিপৃর্ণতার তিনটি প্যারামিটারের আলোকে দেখি, তাহলে দেখব, ফারহান তার মা-বাবার সাথে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছে, পরিবর্তনের জন্য সে তাদেরকে রাজি করিয়েছে। মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকেও ধারণ করেছে। ফলস্বরূপ, সিনেমাটির শেষের দিকে দেখানো হয় - ফারহান সুখী ও মানসিকভাবে সমৃদ্ধ একজন মানুষ। তারমানে এটা দাঁড়াচ্ছে, ব্যক্তি তার প্রবণতাকে অনুসরণ করে জীবনে পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে। তবে এটাও বলা দরকার: ব্যক্তি কীভাবে জীবনে পরিপূর্ণতা অর্জন করবে, সেটা তার পছন্দের বিষয়। কিন্তু আমাদের পরিবার বা সমাজ এটা মানতে নারাজ। গতানুগতিকভাবে ভালো ফলাফল করে, নিরাপদ ও অধিক অর্থ আয়ের পেশায় যোগদান করবে– এটাই তাদের চূড়ান্ত ইচ্ছা। এতে আর যাই থাকুক, জীবনে অর্থবহতা ও মানসিক সমৃদ্ধি থাকে না।  

আমাদের শিক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ভাবনার বাহিরে নয়। শিক্ষার্থী অর্থবহ ও মানসিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনের দিকে কতটা এগোলো তার বিবেচনা বাদ দিয়ে, তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে কিনা এটা দেখতে চায়। যে প্রতিষ্ঠানটি টিসি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, ধারণা করছি, সেটি সুনাম ধরে রাখতে এ অস্ত্র ব্যবহার করতে চাচ্ছিল। কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো – এভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর মাধ্যমে মিশ্র মেধার শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে প্রতিনিবৃত্ত করতে পারে। বের করে দেওয়া শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে। হুমকিতে পড়তে পারে তাদের ভবিষ্যত। প্রশ্ন হলো- এভাবে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কাটার চেষ্টা কি কোনো সমাধান? নিশ্চয়ই নয়। 

আমাদের বুঝতে হবে “দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো”- এ আপ্তবাক্য এখানে অচল। দুর্বল শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়া ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না। দুর্বল শিক্ষাথীদের নিয়ে কাজ করার চ্যালেঞ্জটুকু এসব প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য লজ্জিত না হয়ে, বিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, ও অভিভাবকদের উচিত তাদের সাহায্য করা, যাতে তারা তাদের ঘুমন্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে পারে। উপযুক্ত পরিবেশ ও সাপোর্ট প্রদান করতে হবে, যাতে তারা সফল হতে পারে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্বল/ফেল করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রবিশেষে একই শ্রেণিতে পুনঃরায় রেখে পরিচর্যা করা যেতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পেশাদার কাউন্সিলর নিয়োগের ব্যবস্থা করা যায়। তারা শিক্ষার্থীর সবলতা, দুর্বলতা, প্রবণতা, আচরণ ও সমস্যা নিয়ে অংশীজনেদের নিয়ে কাজ করবে। শিক্ষার্থীর মূল সমস্যা উদ্ঘাটন করবে। হতে পারে তা বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, সমাজ, পরিবেশ, খাবার, স্বাস্থ্য বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত বিষয় সংক্রান্ত। তাড়িয়ে দিলে, অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সমস্যা যেমন থেকে যেতে পারে, তেমনি বহুমাত্রিক প্রতীভা অনাবিষ্কৃত থেকে যেতে পারে।  

অনেক সময় দুর্বল শিক্ষার্থী পূর্বের পাঠ না বোঝার কারণে পরের পাঠ আর বুঝতে পারে না। এমতাবস্থায়, দুর্বল শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে ফোকাসে রেখে পড়াতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ভৎসনা, কঠোর শাস্তি বা এ জাতীয় কারণে প্রায়ই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। শিক্ষকের হাসিখুশি ও নম্র ব্যবহার দুর্বল শিক্ষার্থীটির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের সবল দিকগুলো চিহ্নিত করে, তার জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। সাধারণভাবে মেধাবীরা শিক্ষকদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে। তবে, শ্রেণির দুর্বল শিক্ষার্থীটিরই শিক্ষকের সাহায্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আবার, সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তালগোল পাকিয়ে ফেলে। এটি নিয়েও শিক্ষকদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা অন্যদের চেয়ে বেশি ভুলে যায়। এসব ক্ষেত্রে, শিক্ষক আলোচনা, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট, মকটেস্ট, ইত্যাদির মাধ্যমে একই পাঠের পুনঃপৌনিক চর্চা করাতে পারেন। প্রয়োজনে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন। শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করবেন। পর্যবেক্ষণ করবেন। সহনশীল হবেন। এছাড়া, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। প্রয়োজনে ডাক্তার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ শিক্ষকের সাহায্য নিবেন। একজন শিক্ষক পদ্ধতির ধারাবাহিকতা রক্ষা, শিক্ষার্থীদের সাথে আস্থাশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, শিখন-শেখানোয় সৃজনশীলতার প্রয়োগে শিক্ষার্থীদের গুচিয়ে কাজ করতে শেখাবেন এবং পাঠ দান ও শিক্ষার্থী ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত থাকবেন। তিনি শিশু মনোবিজ্ঞান ও শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের সর্বশেষ জ্ঞানের উপর দখল রাখবেন।

অধিকন্তু, সবল-দুর্বল শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্ব নিয়ে শিক্ষক কাজ করতে পারেন। এখানকার প্রবণতা অনুযায়ী ভালো মানের শিক্ষার্থীটির বন্ধু হয়- সাধারণত, আরেকজন ভালো মানের শিক্ষার্থী। আর দুর্বলের বন্ধুত্ব হয় দুর্বলদের সাথে। এটা হয় দুর্বলদের দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হওয়া, বুলিয়িং বা টিজিংয়ের শিকার হওয়ার জন্য। শিক্ষকরা সবল-দুর্বল সবার সাথে সবার বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করবেন। এতে পরস্পরের নিকট থেকে শেখার সুযোগ তৈরি হতে পারে। আবার, শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন: মনোযোগের অভাব এবং অতি-চঞ্চলতাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিক্ষার্থী, আচরণজনিত সমস্যা আক্রান্ত শিক্ষার্থী, মন্থর গতির শিক্ষার্থী, ভিন্ন দক্ষতার শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদার শিক্ষার্থী, গিফটেড (সমৃদ্ধ) শিক্ষার্থী, ইত্যাদি। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে মিশ্রিত করে জোড়ায় ও দলভিত্তিক কাজ করানো যেতে পারে।  

এছাড়াও, অধ্যক্ষ জেমি সুধাকর বেশকটি পদ্ধতির উল্লেখ করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে – পাঠদান পদ্ধতির পরিবর্তন, নানা ধরনের কৌশল ও কাজ অনুশীলন, একাধিক কৌশলের সমন্বয়, অডিও-ভিডিও কন্টেটের ব্যবহার, স্বতন্ত্র ওয়ার্কশীট প্রস্তুত করা, সহপাঠীদের মধ্য থেকে কাউকে শিক্ষক বানানো। এরপরও রয়েছে, মৌখিক ও লিখিত অ্যাসাইনমেন্টের সংমিশ্রণ, শেখার জন্য বিভিন্ন মেটেরিয়াল প্রদান, শেখার বিভিন্ন কৌশল, যেমন – নোট গ্রহণ, শোনা, সারবস্তু বের করা, ইত্যাদি শেখানো, সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব জাগ্রত করা, হোমওয়ার্ক কমিয়ে দেওয়া, বিভিন্ন সহ-শিক্ষা ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। ছোটো হলেও তাদের কাজকে প্রশংসা করা ও অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া, বাসা-বাড়ির পাঠ কক্ষের জন্য দৃষ্টিগ্রাহ্য বিভিন্ন গ্রাফিক তথ্য সরবারহ করা, এবং তাদেরকে পড়াশোনার মধ্যে রাখা। 

সবশেষে বলতে হয়, টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া সহজ, কিন্তু সময়, শ্রম, মেধা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োগ করে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের টেনে তোলার কাজটি নিঃসন্দেহে কঠিন। এ কঠিন কাজটিকেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিলে করতে হবে। নতুন দিনে, গড গিফটেড সেরা মেধাবীদের রেখে, দুর্বলদের টিসি প্রদান করে, দায়িত্ব এড়ানো, ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনামের হানি ঘটাতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝতে হবে, মিশ্র শিক্ষার্থীর শ্রেণিতে সবাই জিপিএ-৫ পাবে না, বা হয়তো শতভাগ পাসও করবে না। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্টদের মনে রাখতে হবে, বর্তমান একুশ শতকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তর যুগের শিশুরা অধিক তথ্য সমৃদ্ধ, আবেগপ্রবণ, অধিকার সচেতন ও আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন। টিসি প্রদান বা টিসি প্রদানের খড়্গ তাদের জন্য মানসিক নির্যাতন।

সরকার ২০১১ সালে আইন করে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। অতএব, দুর্বল বা অকৃতকার্যদের বোঝা মনে করা যাবে না। বরং তাদের বহুমূখী প্রতিভার ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, জাতির বহুমাত্রিক প্রয়োজন পূরণের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়াই হবে আগামীর ভালো প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে, মাধ্যমিক পর্যায়ে কারিগরি ও ভোকেশনাল কোর্স চালু করার সরকারের উদ্যোগ, প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ ও পরিধিকে সম্প্রসারিত করবে।

লেখক: ইউজিসির পোস্টডক্টরাল ফেলো   


সর্বশেষ সংবাদ