নর্দান মেডিকেলের ২৩৯ শিক্ষার্থীকে মাইগ্রেশনের অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

রংপুর নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
রংপুর নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © সংগৃহীত

ভর্তি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত থাকা রংপুর নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের ২১ নেপালী শিক্ষার্থীসহ ২৩৯ জনকে মাইগ্রেশনের অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এ অনুমতি দেয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও শর্ত পূর্ণ না করায় কলেজটির একাডেমিক নবায়ন এবং ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে বিএমডিসি। এর পরের বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অনুমোদনও বাতিল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে মন্ত্রণালয়।

এ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত ২১ জন শিক্ষার্থী ১১ মাস ধরে ইন্টার্ন করতে পারছিলেন না। আর পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে পড়ে।

এরই মধ্যে চতুরতার আশ্রয় নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টে একটি রিট করে পত্রিকায় অনুমোদন থাকার মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ২১ নেপালীসহ ২৩৯ জনকে ভর্তি করায় কলেজটি।

এ অবস্থায় ইন্টার্ন করা ও মাইগ্রেশনের দাবিতে গত জানুয়ারি মাস থেকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে প্রথমে ক্যাম্পাসের ভিতরে সকাল-সন্ধ্যা বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রবিউল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা বিধিমালা ২০১৯ (সংশোধিত) না মানায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ হতে নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ, রংপুর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রেরণ করে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/আইএইচটি/ম্যাটস প্রতিষ্ঠা, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন কোর্স অনুমোদন ইত্যাদি সংক্রান্ত কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়।

‘বিশ্লেষণ শেষে প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ প্রতিপালন না করা এবং প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আগ্রহ পরিলক্ষিত না হওয়ায় অধ্যয়রনরত সকল শিক্ষার্থীর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়’, যোগ করা হয় চিঠিতে।