প্রতিষ্ঠার পর ১২ হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বের হয়েছে বিএসএমএমইউ থেকে: ভিসি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ   © সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠার পর ১২ হাজার চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাস করে বেড়িয়ে গেছেন। তারা জাতিকে সেবা দিচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আরও দরকার।

শনিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে মার্চ-২০২৪ সেশনে এমডি/এমএস প্রোগ্রাম ফেইজ-এ ভর্তি হওয়া রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি এক লাখে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। কিন্তু আমরা জানি অ্যানেসথেসিয়া, ইএনটির মতো বিষয়ে সে সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। গতকাল আমাদের এমফিল অ্যানাটমিতে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে আমরা ভর্তি করতে পারি ৩৬ জন। কিন্তু ভর্তির জন্য আবেদন করেছে মাত্র ২৬ জন। এর মধ্যে চান্স পেয়েছে মাত্র ১৪ জন। 

এছাড়া গত এমডি অ্যানাটমি কোর্সের ভর্তির পরীক্ষার সময় দেখলাম সিট ৭১টি, আবেদন করেছে ৪৯ জন, কিন্তু চান্স পেয়েছে ২৯ জন বলে জানান উপাচার্য। তিনি আরও বলেন বলেন, এখনও আমরা বেসিক সাবজেক্টকে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না। বেসিক সাবজেক্ট বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলোজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও অ্যানেসথেসিয়ার মতো বিষয়ে ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাদের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় আমরা অভিজ্ঞ কাউকে পাব না।

জানা গেছে, অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ