মেডিকেল ছাত্রকে গুলি, ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭ AM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৭ AM
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের গুলি করার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (৪ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফ কর্তৃক জনৈক শিক্ষার্থীকে কলেজ ক্যাম্পাসে গুলি করা সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া তদন্ত কমিটিকে বর্ণিত বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক এ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফ
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এই ঘটনার পর এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজ থেকে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাসরুমে ভাইভা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শিক্ষক রায়হান অস্ত্র বের করে গুলি চালান। গুলিটি কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তমালের পায়ে বিদ্ধ হয়।
অভিযুক্ত রায়হান শরিফ কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। গুলির এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের রাতে ভিডিও কল দিতেন এবং তার কাছে যেতে বলতেন।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে কলেজে এক শিক্ষার্থীকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীরা এই অভিযোগ করেন। এসময় তারা শিক্ষক রায়হান শরীফের বহিষ্কার দাবি করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।