বেসরকারি মেডিকেল
বিদেশি কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন দেশী শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:২৭ PM , আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:৪৬ PM
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনীত আসনের প্রায় অর্ধেকের বেশি আসন ফাকা থাকছে। এ বছর দেশের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি হতে পারবেন এমন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২৩৫ জন। তারা ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভুটান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে পড়তে আবেদন করেছেন। ফলে ৪৫ শতাংশ কোটার বিপরীতে নীতিমালা অনুযায়ী এসব ফাঁকা আসনে ভর্তি হতে পারবেন দেশীয় শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৬৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ৬ হাজার ২০৮টি। এই আসনগুলোর মধ্যে দেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন (দরিদ্র কোটাসহ) ৩ হাজার ৬৫৭টি। এ ছাড়াও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন ২ হাজার ৫৫১টি। ফলে সর্বশেষ হিসেবে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসনের বিপরীতে ফাঁকা থাকলে দেশের ১৩১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন।
বিদেশি কোটায় আড়াই হাজারের বেশি আসন থাকলেও ভর্তির জন্য এক হাজার ২৩৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর ফলে এবার বিদেশি কোটায় অর্ধেকেরও বেশি আসন ফাঁকাই থেকে যাবে। এই আসনগুলোতে পরবর্তীতে নীতিমালা অনুযায়ী দেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে—জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত ৩ জুলাই থেকে বেসরকারি মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছেন। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে। কাজেই বিদেশি কোটায় কতগুলো আসন ফাঁকা থাকছে সেটি ভর্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্ট করে এখনি বলতে পারবো না—ডা. মুজতাহিদ মোহাম্মদ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
এবছর নানা আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাক্রম অনুযায়ী দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে টাকার মানদণ্ডের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্ধারিত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় ভর্তি হবেন শিক্ষার্থীরা।
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু থাকলেও বেসরকারি কলেজগুলোতে মেধার চেয়ে টাকার মানদণ্ডে যারা এগিয়ে থাকতেন, তারাই ভর্তির সুযোগ পেতেন। অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এতে মেধাবীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির অগ্রাধিকার পাবেন।
এর আগে বিগত ২০২১ সালে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে এতে তখন আপত্তি জানায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মালিকরা। এ নিয়ে মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। তখন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী এবার সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।