গুণগত মানের শিক্ষা ফেরাতে মাদ্রাসায়ও চালু হচ্ছে র‌্যাঙ্কিং

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

এবার দেশের ইসলাম ধর্মভিত্তিক কয়েক হাজার উচ্চশিক্ষালয়ের তদারক প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইএইউ) অধীনে মাদ্রাসাগুলোর জাতীয়ভাবে র‌্যাঙ্কিং চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইএইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতেই তাদের এমন উদ্যােগ। এছাড়াও র‌্যাঙ্কিংয়ের ফলে দেশের মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার ঐতিহ্য এবং সুনামও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে দেশের ইসলাম ধর্মভিত্তিক কয়েক হাজার উচ্চশিক্ষালয়ের তদারক এ প্রতিষ্ঠানটি। জেলা ও বিভাগকেন্দ্রীক মাদ্রাসাগুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি মাদ্রাসাও এখন থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকও নির্বাচিত করা হবে। 

ফলে এখন থেকে সারাদেশে ইসলাম ধর্মীয় আবহে পরিচালিত মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষালয়গুলোর জাতীয় এবং বিভাগভিত্তিক অবস্থান সহজে জানা সম্ভব হবে। মাদ্রাসাগুলোর পড়াশোনার মান, পরিবেশ, শিক্ষক, পাঠদান, সিলেবাস, ফলাফল এবং অবস্থানের ভিত্তিতে এ র‌্যাঙ্কিং প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারক উচ্চশিক্ষালয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (আইএইউ) কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আইএইউ’র অধীনে দেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০ এরও বেশি মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা সময়ে বৈশ্বিক বিভিন্ন র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান রাখতে পারে। এর বাইরে দেশের অভ্যন্তরে তাদের জন্য কোনো র‌্যাঙ্কিং এখনও চালু হয়নি। তবে দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশীয় উচ্চশিক্ষালয়গুলোর জন্য র‌্যাঙ্কিং চালুর সুপারিশ জানিয়ে যাচ্ছে সরকারের কাছে। এর বাইরে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা শিক্ষালয়গুলোর জন্য কলেজ ভিত্তিক একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এখন নতুন করে দেশের মাদ্রাসাগুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে দেশের ইসলাম ধর্মভিত্তিক কয়েক হাজার উচ্চশিক্ষালয়ের তদারক প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে মাদ্রাসাগুলো পাঠদান, শিক্ষার পরিবেশ ও গুণগত মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ, গবেষণা, হালনাগাদ সিলেবাসসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়াবলি বিবেচনা করবে তদারক এ উচ্চশিক্ষালয়।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইএইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদের সাথে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার মান বাড়াতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছি। র‌্যাঙ্কিং তেমনই একটি উদ্যোগ। আশা করছি, এর মাধ্যমে আমরা দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারবো। 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে র‌্যাঙ্কিং জরুরি জানিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ বলেন, এখানে আমরা সংশ্লিষ্ট সবগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখবো। এতে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো সামনে চলে আসার সুযোগ পাবে। যারা তুলনামূলক পিছিয়ে থাকবে, তারাও নিজেদের ঘাটতি উপলব্ধি করতে পারবে এবং ভালো করার সুযোগ পাবে। আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং র‌্যাঙ্কিং হলে তা আরও তরান্বিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ