ছাত্রলীগের বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন তা’মীরুল মিল্লাতের হাসনাইন

প্রথম স্থান অর্জন করেছে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর শিক্ষার্থী হাসনাইন রেজা
প্রথম স্থান অর্জন করেছে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর শিক্ষার্থী হাসনাইন রেজা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর শিক্ষার্থী হাসনাইন রেজা।

শনিবার (১ জুন) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মো: কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরি এবং সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি হাসান ইনান।

বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১০০০ জনের প্রাথমিক পর্ব থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ১০ জন বক্তা চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর শিক্ষার্থী হাসনাইন রেজা। দ্বিতীয় হয়েছেন দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ডেমরার শিক্ষার্থী ইয়াসিনুর রহমান জিহাদ। তৃতীয় হয়েছেন ঠনঠনিয়া নুরুনআলা নুর কামিল মাদ্রাসা বগুড়া শিক্ষার্থী আব্দুল মোত্তালিব। পুরস্কার হিসেবে বই, মেডেল, ল্যাপটপসহ প্রথম- দ্বিতীয়- তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে যথাক্রমে এক লক্ষ, পঞ্চাশ হাজার ও ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু যদি যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরে। ধ্বংস স্তূপ থেকে একটি দেশকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি যদি আর পাঁচটি বছর বেঁচে থাকত এই দেশটি আরো এগিয়ে যেত। মাহাথির মোহাম্মদ ২০ বছরে যে মালয়েশিয়ার উন্নতির উদাহরণ দেই, বঙ্গবন্ধু যদি পাঁচটি বছর বেঁচে থাকত তাহলে মালয়েশিয়াকে আমাদের দেশটি ছেড়ে যেত। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সেই সব স্বপ্নই বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মাদরাসা শিক্ষা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে দুই ধরনের মাদরাসা শিক্ষা প্রচলিত রয়েছে। কওমি এবং আলিয়া মাদরাসা। অনেকদিন ধরেই কওমি মাদরাসার লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের লেখাপড়ার স্বীকৃতি ছিল না অথচ তাদের সনদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি দূর করে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি প্রদান করেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে, তিনি এমন এক অবিসংবাদিত নেতা। তার তুলনা শুধু তার সঙ্গে। তারই রেখে যাওয়া স্বপ্নই আজকের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ