জনপ্রিয়তা অর্জন নয়, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন করতে এসেছি

তাহির হাসান ঋদ্ধ
তাহির হাসান ঋদ্ধ  © টিডিসি ফটো

দেশের জনপ্রিয় এড টেক কোম্পানি রুটস এডু-এর প্রতিষ্ঠাতা তাহির হাসান ঋদ্ধ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে শুরু করেছেন  রুটস এডু নামের এ স্টার্টআপ। তার শৈশব, বেড়ে উঠা, শিক্ষা জীবন ও তার নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান নিয়ে সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাগুলো শুনেছেন তাওফিকুল ইসলাম হিমেল


দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি কেমন আছেন? দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা।
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শুরুতে আপনার শৈশব নিয়ে জানতে চাই।
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমার জন্ম ঢাকাতেই। আমার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক। মা ছিলেন উত্তরার একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক। আর বাবা গনিতের শিক্ষক। বাবা বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকতা করেছেন। আমার বাবার কাছে আমদের বাসায় অনেক ছেলে মেয়ে পড়তে আসত। আমার অনেক বন্ধু বাবার কাছে পড়ত।

তারা যদি অংক করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ত, তখন বাবা তাদেরকে সমাধান করে বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু আমি অংক করতে গিয়ে আটকে গেলে আমাকে তিনি বুঝিয়ে দিতেন না। উল্টো বলতেন উদাহরন দেখে বা নিয়ম পড়ে নিজে নিজে করতে। আমার তখন অনেক মন খারাপ হত; যে আমার বাবা আমার বন্ধুদের অংক করে দিচ্ছে। তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে আর তিনি আমাকে সমাধান করে দিচ্ছেন না।

তবে একটা সময়ে গিয়ে আমি বুঝলাম তিনি এটা কেন করতেন। প্রতিটা জিনিস শেখার দুইটি পথ আছে। একটা সংক্ষিপ্ত আরেকটি বিস্তারিত। আমাকে বাবা ওই বিস্তারিত পথেই পড়াশোনার জন্য গড়ে তুলেছিলেন। যা পরবর্তী জীবনে আমাকে অনেক ভালো করতে সহায়তা করেছে। আমার শৈশব থেকে এই অবস্থানে আসার জন্য বাবার অনেক বেশি অবদান ছিলো। বাবা কর্ম জীবন শেষ করেন মৈনারটেক হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে।

আরও পড়ুন: 'শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রমনা করে তুলতে নতুন পাঠ্যক্রম'

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার শিক্ষাজীবনের গল্প শুনতে চাই।
তাহির হাসান ঋদ্ধ: ষষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত আমি ছিলাম সরকারি মোল্লার টেক উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বাবা তখন ওই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। এরপর আমি সপ্তম শ্রেনীতে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুলে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে মাধমিক পাশ করি। পরে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হই বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।

বুয়েটে আমার পছন্দের বিষয় ছিলো কম্পিউটার সাইন্স। আমার বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় পজিশন ছিলো ২৯৩ আর সিএসইতে সিট ছিলো ১২০টি। তাই ইইই নিতে হয়েছিলো। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার ইইই-এর থেকে সিএসই নিয়েই নিজের পড়াশোনা বেশি হয়েছে, যেটাকে বলা হয় সেলফ স্টাডি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ইইই বিভাগে পড়াশোনা করে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা কীভাবে এলো মাথায়?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: যেকোনো জায়গা থেকেই পথ পরিবর্তন করা সম্ভব। ইইই-তে পড়ে আমাকে ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে বিষয়টি এমন নয়। আসলে আমরা চাইলে ব্যবসার দিকেও যেতে পারি।

এছাড়া কেউ যদি অ্যাপ ডেভলপমেন্টের দিকে যেতে চায় সেটিও সম্ভব। তার জন্য করতে হবে সেলফ স্টাডি। তবে আমার নিজের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা কখোনই ছিলো না। যখন বুয়েটে চান্স পেলাম তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতো যে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াতে। শুরুটা ছিলো এভাবেই।

আব্বুর সহকর্মীরাও তাদের সন্তানদের পড়াতে বলতেন। এলাকায় ভালো শিক্ষার্থী হিসেবেও আমার বেশ সুনাম ছিল। তাদের মনে একটা ভুল ধারণা ছিলো যে ভালো শিক্ষার্থী হলেও সব ক্ষেত্রে ভালো শিক্ষক হওয়া যায় না। সেখান থেকে আমার মনে একটা জেদ হয়; কেন আমি ভালো শিক্ষক হতে পারবো না?

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ‘রুটস এডু’- এর প্রতিষ্ঠা কীভাবে
তাহির হাসান ঋদ্ধ: বিভিন্ন কোচিং-এ পড়াতে পড়াতে ৩য় বর্ষে আমার মাথায় আসে আমি নিজেই এরকম প্রতিষ্ঠান করে ফেলি। তবে সমস্যা ছিলো বুয়েট বা মেডিকেলে পড়াশোনা করে কেউ শিক্ষক হবে ছেলে মেয়েদের পড়াবে এটা তো আমাদের সমাজ মানবে না। এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে করতে হঠাৎ একদিন দেখলাম ইন্ডিয়াতে ইঞ্জিনিয়ার রা ইডুপ্রেইনার হচ্ছে বা চায়নাতেও ইঞ্জিনিয়াররা এড টেক কোম্পানিগুলোর ফাউন্ডার হচ্ছে।

তখন আমি চিন্তা করলাম তারা পারলে আমিও পারব। আর আমার নিজেরও শিক্ষক হওয়ার তীব্র ইচ্ছে ছিলো। তাই চিন্তা করলাম আমি এভাবে কোচিং-এ পড়ালে সর্বোচ্চ ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে রিচ করতে পারবো। দেশের একেবারে অজপাড়া গ্রামে শিক্ষকে হিসেবে পৌঁছনোর জন্য আমাকে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে।

গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০১৮ সালের অক্টোবরে নতুন কিছু করার চেষ্টার কথা চিন্তা করি; যেটাতে শিক্ষকতাকে কাজে লাগানো সম্ভব। এভাবেই ‘রুটস এডু’-এর সৃষ্টি। আর আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কোনোকিছুই সেভাবে পরিকল্পনা করা ছিলো না। একটার পর আরেকটা করতে করতেই দেখলাম হয়ে গেছে।  

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শুরুর সময়কার সংগ্রামের কথা জানতে চাই।
তাহির হাসান ঋদ্ধ: ২০১৮ সালের চিন্তা থেকেই শুরুর দিকে আমাদের রুটস এডু-এর জন্য একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন ছিলো। যেটা আমি নিজে বানিয়েছিলাম। তখন দিনে ক্লাস নিতাম আবার রাতে গিয়ে ওয়েবসাইটের জন্য কোডিং করতাম আমার স্ত্রি দিলরুবা আহমেদ নিটোল এসময় অনেক সাহায্য করেছে আমায়।নিটোল সিএসই এর শিক্ষার্থী ছিলো তাই সে কোডিং এ দক্ষ ছিলো।তার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করেছে আমায়। স্টার্টাপের জন্য ফান্ড একটা বড় বিষয় ছিলো। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্টার্টআপের ধারণা খুব কম মানুষই বোঝেন। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে ফান্ড পাওয়া অনেক কষ্টের বিষয়।

তবে আমরা শুরু করেছিলাম। শুরুর সময়ে আমার সঙ্গে ছিলো বন্ধু জিহাদ। তবে এখন আমাদের কো-ফাউন্ডার তিন জন। আমাদের সাথে আমার আরেক বন্ধু সাদাফ যুক্ত হয়েছে।আমাদের ফাউন্ডার তিন জন হলেও নিটোল শুরু থেকেই আমাদের সাথে ছিলো। তখন আমাদের প্রয়োজন ছিলো একটি স্মার্ট বোর্ড। যেইটা ২০১৮ সালের দিকে বাংলাদেশে খুবই কম পাওয়া যেত। তখন আমরা আমাদের জমানো কিছু টাকা থেকে ইউএসএ থেকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি স্মার্টবোর্ড এনেছিলাম। এরপর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে আমরা ভিডিও বানানো শুরু করি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এড টেক আসলে কী?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমাদের দেশের মানুষেরা এই শব্দের সাথে পরিচিত নয়। তারা এড টেক বলতে বোঝে অনলাইনে পড়াশোনা করা। তবে এড টেক মানে আসলে পড়াশোনার সাথে প্রযুক্তিকে যুক্ত করা। অর্থ্যাৎ প্রযুক্তির সহায়তায় পড়াশোনাকে সহজ করে দেয়া। 

যেমন উদাহরণ হিসেবে যদি বলি আমাদের ডাউট সলভ ফিচার যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থ্যায় অনেক পরিবর্তন এনেছে। শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই অনেক ডাউট সলভ করতে পারে। তাদের শুধুমাত্র অ্যাপে সমস্যার ছবি তুলেদিলেই সেগুলোর সমাধান চলে আসছে কিছুক্ষনের মধ্যে। এমন প্রযুক্তিগত বিল্পব নিয়ে আসাই এড টেক কোম্পানিগুলোর উদ্দেশ্য। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: স্টার্টআপের জন্য এড টেককেই কেন বেছে নিলেন?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: ছোটবেলায় বাবার কাছে তার শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন। আমি যেখানে ঘুমোতাম তার পাশেই বাবার পড়ানোর টেবিল ছিলো। অনেক দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম বাবা পড়াচ্ছেন পাশেই। আমার বেড়ে ওঠাই এই পরিবেশের মধ্যদিয়ে। আবার ছাত্র জীবনেও অনেক ছাত্র পড়িয়েছি। সব কিছু মিলিয়েই এড টেককে বেছে নেয়া। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন পর্যন্ত কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমি ২টি প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করতে চাই। বিশেষভাবে প্রথম হলো ফান্ডিং। যেখানে আমরা আমাদের দেশের সহায়তা পাইনা খুব একটা। আমাদের দেশে যদি উদ্যোক্তাদের জন্য ফান্ড আসে বাইরের দেশ থেকে, সেটা দেশের রিজার্ভকেও সমৃদ্ধ করবে। তারপরেও এই দেশে এই প্রসেসগুলো খুব সহজ নয়। যার ফলে অনেকে উদ্যোক্তা হতে চাইলেও ফান্ডের অভাবে আগাতে পারছেন না।

আর দ্বিতীয়টি যদি বলি সেটা হলো ইন্টারনেট। ডাটার অধিক মূল্য ও ঢাকার বাইরে নেটওয়ার্কের ভোগান্তি আমাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। এই ক্ষেত্রগুলোতে উন্নতি হচ্ছে; তবে তা অনেক ধীরগতির।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার প্ল্যাটফর্ম ROOTs Edu বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতায় কতটুকু এগিয়ে রয়েছে?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: প্রতিযগিতা কথাটি এখন মাথায় আনাটা বোকামি। কারণ এই এডটেক বাংলাদেশে যারা শুরু করছে আমি সহ তারা সবাই খুব আর্লি স্টেজে রয়েছে। যেটাকে শিশুর সাথে তুলনা করা যায়।

কোনো এডটেক কোম্পানিরই অ্যাপ বা ফিচারগুলো শতভাগ কার্যকর নয় বা নিখুত নয়। বাজারে এগিয়ে থাকার বিষয়টি নিজেরা কেউই বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না। তবে দেশের বাইরে ইন্ডিয়ান বা চায়নার এডটেক কোম্পানিগুলো আমাদের থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছে। যার মূল কারণ তাদের সরকার তাদের অনেক সহায়তা করে। যার ফলে তারা বিদেশি বিনিয়োগ কে আকৃষ্ট করতে পারছে।আমাদের দেশের সরকার যদি পলিছি গুলোকে সহজ করে তবে আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও সহজে বাইরে থেকে ফান্ড আনতে পারত।সবকিছু মিলিয়ে এখন প্রতিযোগিতার বিষয়টি আসছে না। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার অফিসে এখন পর্যন্ত কতজন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমদের অফিসে বর্তমানে ফুল টাইম ও পার্টটাইম মিলিয়ে একশ জনের মত মানুষ কাজ করছে। আমরা আসলে প্রযুক্তি নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। যার ফলে আমাদের অফিসে কাজ করা মানুষের সংখ্যাও খুব বেশি নয়।

আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগে শিক্ষাখাতকে স্মার্ট করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মাধ্যমে দেশ কীভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: দেশকে সমৃদ্ধ করা অনেক বড় কাজ। বাংলাদেশের মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা একটি। শিক্ষার মেরুদন্ড হচ্ছে শিক্ষক। আমরা সারাদেশে সেরা শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে থাকি। ঢাকার বাইরে দেখা যায় মানুষ একজন ভালো শিক্ষকের জন্য অনেক টাকা খরচ করতে রাজি। কিন্তু তারা সবসময় হাতের কাছে ভালো শিক্ষক পান না।

আমরা অনেক যাচাই-বাছাইয়ের করে একজন শিক্ষককে নির্বাচন করি। এর মাধ্যমে বলতে পারেন বাংলাদেশে আমরা কোয়ালিটি শিক্ষা প্রদানে ভালো ভূমিকা রাখতে পারছি। আমাদের মাধ্যমে এখন ঢাকায় বসে একজন শিক্ষার্থী যে সুবিধাগুলো পাচ্ছে একটি অজোপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীও সেই একই সুবিধা পাচ্ছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভবিষ্যতে যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের উদ্যেশ্যে কি বলবেন
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমি যদি ভুল না করি, তবে কেউই আসলে প্ল্যান-প্রোগ্রাম করে উদ্যোক্তা হন না। যখন কোনো সেক্টরে মানুষের ভালোলাগা কাজ করে তখন মানুষ হয়তো তার জন্য অনেক বড় কিছুকেও সেক্রিফাইস করে সেদিকেই যায়। একপর্যায়ে সফল হয়ে ওঠে। কেউ যদি নিজের কাজকে খুব সম্মান করে, সে যেকোনোভাবেই সফল হবে। এটা ইতিহাসে আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
তাহির হাসান ঋদ্ধ: আমাদের মূল্য লক্ষ্য এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা, জনপ্রিয়তা অর্জন নয়। সেই চিন্তা থেকে আমরাই দেশে প্রথম ডাউড সলভ ফিচার এনেছি। এটা ম্যানেজ করতে অনেক এম্প্লয়ীর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী রুটস এডুর উপরে নির্ভর করছে। তাদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম সহজ করাই আমাদের ভাবনা। আমাদের সকল পরিকল্পনা এখন রুটসকে ঘিরেই। ভবিষ্যতে এটিকে আরো অনেক বড় করতে চাই। নতুন অনেক টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন আনতে চাই, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে আরো সহজ করবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার গুরুত্বপূর্ন সময়ের জন্য ধন্যবাদ। 
তাহির হাসান ঋদ্ধ: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেউ অনেক ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ