এসএসসি-এইএসএসি: পরীক্ষা আয়োজনে শেষ পর্যন্ত দেখতে চায় মন্ত্রণালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১, ০৪:১৩ PM
দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর এখনো এসএসসি-এইএচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি সরকার। দেরিতে হলেও পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
রোববার (১১ জুলাই) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের বিষয়ে খুব শিগগিরি জানিয়ে দেয়া হবে। কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে এই সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে কিনা জানতে চাইলে ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, এ বিষয়ে এখনি কিছু বলে বিভ্রান্তি বাড়াতে চাই না। ঘোষণার মাধ্যমে যাবতীয় বিষয় নিশ্চিত করে শিগগির এ বিষয়ে জানানো হবে।
তবে এসএসসি-এইএচএসসি পরীক্ষা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকে পা দিলেই অক্টোবরে হলেই পরীক্ষার আয়োজন করতে চান তারা।
এর আগে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কোনো না কোনো মূল্যায়ন তো হবেই। শিক্ষার্থীরা যেন লেখাপড়া করে। সংক্ষিপ্ত যে সিলেবাস দেওয়া হয়েছে তা বাড়িতে বসেই পড়ে ফেলা সম্ভব। পরিকল্পনা ছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়েই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি পড়ানো না যায়, তা হলে অ্যাসাইনমেন্ট করা হচ্ছে, সেটা করেই মূল্যায়নে যাবো, নাকি এসএসসির ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির মূল্যায়ন করবো? তাহলে এসএসসির কী হবে? এ ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণির মূল্যায়ন শুধু পাবো। কীভাবে মূল্যায়নটা হবে সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবো।’
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত অফিস আদেশসহ পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠায়।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের পর করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা না নেওয়া গেলে মূল্যায়নের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি পরীক্ষা না নেওয়া যায় তখন বিকল্প মূল্যায়নের কথা চিন্তা করবো। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’
সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাস পড়িয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানো হয়নি। যদিও করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করা হয়। এ কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেও মূল্যায়নের কোনও সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হয়েছে।