এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা  © টিডিসি ছবি

আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ জুন থেকে। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। সেই হিসেবে এবার ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৪টি আর মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় ৯১ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি, পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি। এ বছর কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ব্যতীত অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ঐ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এবার সব পরীক্ষার্থীর (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ড সমূহের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট ২০২৪ শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট।


সর্বশেষ সংবাদ