নাকে আছে মুখে নেই, নতুন মাস্ক ‘কোস্ক’

কোস্ক পরা নারী
কোস্ক পরা নারী  © সংগৃহীত

মাস্ক নিয়ে গত দু’বছরে পরীক্ষা কম হয়নি। এন৯৫ না সার্জিক্যাল মাস্ক, কোনটি বেশি কাজের, তা নিয়ে কখনও হয়েছে চর্চা। তার মধ্যেই কেউ বানিয়েছেন সুতির কাপড়ের মাস্ক। কেউ আবার বিয়েবাড়ির জন্য বেনারসির মাস্ক কিনে ফেলেছেন। সে সব মাস্ক কত কাজের, তা নিয়ে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তারই মধ্যে বিশ্বের নজর কেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোস্ক’।

আরও পড়ুন: তরুণেরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়

শুধু নাক ঢাকা থাকে এই মাস্কে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘কো’ মানে নাক। ‘কো’ আর ‘মাস্ক’ মিলে হয়েছে ‘কোস্ক’। গোটা বিশ্বের নজরে এখন এই মাস্কই।

এর জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে সবাই বলছেন, এই মাস্কটি পরে থাকা অবস্থাতে স্বাভাবিকভাবে খাওয়াদাওয়া করা যায়। অন্য মাস্ক পরে থাকলে খাওয়ার সময়ে সেটি খুলে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সেই অসুবিধা নেই।

মূলত এই মাস্কটি নকশা করা হয়েছে মূল মাস্কের নিচে পরার জন্য। অর্থাৎ নাক ও মুখ আবৃত করে রাখে এমন মাস্কের নিচে পরা যেতে পারে ‘কোস্ক’। ফলে খাওয়া বা কিছু পান করার সময় বড় মাস্কটি খুলে রাখলেও নাককে সুরক্ষা দিয়ে থাকে কোস্ক। এর রয়েছে দুটি অংশ। মুখের অংশটি ওপরে উঠিয়েও খাওয়া দাওয়া চালানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন: তীব্র সেশনজটের হতাশায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

অনেকে বলছেন, এটিতে যেহেতু মুখ ঢেকে রাখার সুযোগ রয়েছে, তাই এটি দরকার মতো খুলে মুখও ঢেকে রাখা যায়। ফলে দুটো কাজই একসঙ্গে হয়। আর খাবার খাওয়ার সময়ে তো নাকটুকু ঢাকা থাকছেই। ফলে তাতে কিছুটা হলেও অতিরিক্ত সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে, যা অন্য মাস্কে পাওয়া যায় না।

যদিও এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। অনেকে বলছেন, পুরোটাই ব্যবসা। খাওয়ার সময়ে নাক খুলে রাখলেও বিশেষ ক্ষতি হয় না। আর এই মাস্কটি পরে অনেকেই সব সময় মুখ খুলে রাখছেন। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।


সর্বশেষ সংবাদ