সাহয্য চাইলেন উপদেষ্টা
১২ হাজার টাকার শিক্ষকদের বেতন বাড়াবো নাকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ PM , আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ PM
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা করতে হলে শিক্ষার বাজেট বাড়ানোর বিকল্প নেই। তবে এটা হঠাৎ করে হবে না। এ ব্যাপারে আমার মাথায় যে চিন্তাগুলো আছে তা হলো- কাদেরকে দিয়ে শুরু করবো, প্রাইমারি শিক্ষক, নাকি বেসরকারি খাতের এমপিওভুক্ত শিক্ষক, যারা ১২ হাজার টাকা বেতন পান। তাদের এমপিও বাড়াবো নাকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান মর্যাদা বাড়াবো? কোনটা আগে করবো। আপনারা আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন।
রোববার উচ্চশিক্ষায় বৈশ্বিক মান: বাংলাদেশের করণীয়’ নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এ সাহায্য কামনা করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ কথা বলেন সাম্প্রতিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও। তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের কথা উঠছে। একজন শিক্ষকের পাঁচ হাজারের বেশি সাইটেশন থাকলে তো তিনি অনেক বেশি গবেষণা করেন বলে বোঝা যায়। তাহলে তিনি কখন রাজনীতি করার সুযোগ পান।
সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা এবং গবেষণা বাড়ানো দরকার জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পূর্ববর্তী সময়ে দেশের শিক্ষাঙ্গনে নানান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখানে রীতিমতো দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বন্ধ করতে কাজ করছি, সেজন্য আমরা উপাচার্যসহ অন্যান্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের আমরা নিয়ে আসছি।
দেশের বাইরে থাকা ভালো শিক্ষক এবং গবেষকদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন জানিয়ে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি বড় সুযোগ হবে। রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের শিক্ষা গবেষণায় ভালো কাজ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। এটি কেন করা হয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না। এর ফল কী হবে, তা নিয়েও ভাবতে হবে। এসব জায়গায় শিক্ষক নেই, শিক্ষার মান নেই। ফলে পড়াশোনার পর এসব শিক্ষার্থীদের কী হবে, তা চিন্তা করতে হবে।