৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি চান ৫৩ শতাংশ নিবন্ধনধারী

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ অর্জনকারী ৫৩ শতাংশ নিবন্ধনধারী ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি প্রক্রিয়া চালুর দাবি করেছেন। এই নিবন্ধনধারীদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিক্ষক অংশগ্রহণ করেছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৩৭৫ জন নিবন্ধনধারী ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে বদলি প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ২ হাজার ১৫৮ জন নিবন্ধনধারী ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির পর বদলি প্রক্রিয়া চালুর পক্ষে নিজেদের মত দিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ফজলে কবির নামে এক নিবন্ধনধারী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বদলি ৬ মাস পর হলেও ক্ষতি নেই৷ ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি পরে হলে ক্ষতি৷ একজন শিক্ষক যখন বদলি হবে তখন সে দুটি পদ দখল করে রাখবে৷ একটা শূন্যপদ, আরেকটা তার নিজের পদ৷ কেননা সে যে পদ ছাড়বে সেটা শূন্য হতেও সময় লাগবে। এছাড়া ইনডেক্স মুছে ফেলার বিষয়ও রয়েছে৷ ১৭তম নিবন্ধনধারীদের ৪ বছর নষ্ট হয়েছে৷ অর্ধেকের বয়স ৩৫ পার হয়েছে৷ এই প্রার্থীদের কথা বিবেচনা করলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি আগে প্রকাশ করা দরকার।’

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। যারা নিয়োগ পাবে তাদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বদলি পরে হলেও কোন সমস্যা হবে না। কেননা বদলি নীতিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি বাস্তবায়ন হতে অনেক সময় লেগে যাবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির মেয়াদ ২/৩ বছর না হলে বদলির সুযোগ দেওয়া হবে না। কাজেই আগে ৫ম গণবিজ্ঞডপ্তি প্রকাশ করলে অনেক বেকারের চাকরি হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

শাকিলা আকতার নামে আরেক নিবন্ধনধারী জানান, ‘আগে বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এরপর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বদলির জন্য যদি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি পিছিয়ে যায়, তাহলে বদলির কার্যক্রম শেষ হতে যতদিন সময় লাগবে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ততদিন বয়সের ছাড় দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আবেদন করতে পারেনি। তারা অল্প বেতনে নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। সেজন্য আগে বদলি চালু করে পরে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।’

নমলেন্দু রয় জানান, ‘আগে বদলি চালু করে পরে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিলে সবার জন্য কল্যাণকর হবে। আগে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিলে শিক্ষক সংকট দূর হয়ে যাবে না; বরং আগে বদলি দিয়ে তারপর গণবিজ্ঞপ্তি দিলে শিক্ষক সংকট দূর হবে। কারণ বদলি চালু না হলে দূর দূরান্তে সুপারিশ পেয়ে নতুন প্রার্থীরা যোগদান করবে না। যেটি ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও আমরা লক্ষ্য করেছি। অনেক প্রার্থী যোগদান করে নি। আগে বদলি চালু হলে নতুন প্রার্থীরা যোগদান করতে দ্বিধা করবে না। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।’

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তি নাকি বদলি কোনটি আগে হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা বদলির কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শূন্য পদের তথ্যও সংগ্রহ করতে হবে। সরকার যদি মনে করে আগে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা দরকার, তাহলে সেটিই বাস্তবায়ন করতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ