কেন আইনি নোটিশ— যা বললেন শতাব্দীর বাবা

এইচএসসি পরীক্ষার্থী
এইচএসসি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

চিন্তায় পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী শতাব্দী রায়। বাবা অরূপ কুমার বলছেন, ‘আমার মেয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এরপর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.২২ পায়। তবে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সে নিজেকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুত করেছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর গতকালকের ঘোষণার পর সে ভেঙে পড়েছে।’

বৃহস্পতিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

তার ভাষ্য, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর থেকেই শতাব্দীর মধ্যে এক ধরনের জেদ ভর করেছিল। সেই জেদ থেকেই সে দিন-রাত পড়ালেখা করত। ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে সে এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষায় সব বিষয়ে ৯০ শতাংশের উপর নাম্বর পেয়েছে। এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেত বলেই আমাদের বিশ্বাস ছিল। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় তার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। মূলত এসব কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শতাব্দী।

জানা গেছে, শতাব্দী রায় সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী। জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে পারলেও এসএসসিতে পান জিপিএ গ্রেড। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের পুনরায় ভেবে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ