চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ফিরবেন ক্লাসেও

হলত্যাগের নির্দেশ  প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীরা শাহ আমানত পরিবহনের বাস আটকে আগুন ধরিয়ে দেন
হলত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীরা শাহ আমানত পরিবহনের বাস আটকে আগুন ধরিয়ে দেন  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান তারা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, চালককে গ্রেপ্তারের দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে। যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক প্রশস্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হবে। ফলে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.  শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিবৃতিতে বলেন, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় পাঠানো হবে। ততক্ষণ হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপাচার্য ও উপ- উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থী বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়। 

একই সঙ্গে বিকেল ৫টার মধ্যে ও ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল নয়টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে তারা শাহ আমানত পরিবহনের আটকে রাখা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।


সর্বশেষ সংবাদ