এইচএসসি নিয়ে সিদ্ধান্ত কাল, থাকছে তিন প্রস্তাব

পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন
পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন  © ফাইল ফটো

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে হতে যাওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া না গেলে বিকল্প প্রস্তাবনা নিয়েও আলোচনা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা নেয়া। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হলো এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জেএসসি-এসএসসি এবং কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ওপর গ্রেড দেয়া। আর তৃতীয়টি হলো পরীক্ষা নেয়ার সময় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময় চাওয়া হতে পারে।

ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচএসসি পরীক্ষা কবে ও কীভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য কাল আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে পরীক্ষা শুরু করব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর একটি প্রস্তাব তৈরি করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে দেশে গত ৮ মার্চ থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হলে এই পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ