মেয়ের জন্য তিন বছর ধরে ডিভোর্স গোপন রাখছিলেন পূর্ণিমা

মেয়ে আরশিয়া উমাইজার সঙ্গে পূর্ণিমা
মেয়ে আরশিয়া উমাইজার সঙ্গে পূর্ণিমা  © সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলার হানিফ পূর্ণিমা বিয়ে করার দুই মাস পর জানালেন তার বিয়ের খবর। বিয়ের বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করে এই অভিনেত্রী বলেন, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ রবিনের মধ্যে সবকিছুই পেয়েছি।  সম্পর্কের ভাঙনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকেও। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। নতুনভাবে জীবন শুরু করেছেন। 

পূর্ণিমার সঙ্গে গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে জানা যায়, অনেকেই ফোন করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ভালো লাগছে। তবে একটু মন খারাপ মায়ের জন্য। মায়ের অ্যাজমার সমস্যা বেড়েছে, বেশ কিছু অসুবিধা নিয়ে ৪/৫ দিন হলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। সেখানেই যাচ্ছি এখন।

তিনি বলেন, দুই পরিবারের আলাপের মাধ্যমেই আমাদের বিয়েটা হয়েছে। ওর পুরো নাম আশফাকুর রহমান রবিন। ওদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা-মা আর দুই বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। খুবই রক্ষণশীল একটি পরিবার। রবিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ডাবল মাস্টার্স করে এখন বাংলাদেশে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছে। মার্কেটিংয়ে।

তার সঙ্গে পরিচয় হয় আমার ২০১৮ সালে। সে তখন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করত। বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তার কাজ। আমিও তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজ করি। ধীরে ধীরে রবিনের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। খুব ভালো মনের একজন মানুষ রবিন। যার কাছে মনের সব কথা খুলে বলা যায়। যাকে সব বিষয়ে বিশ্বাস করা যায়। আমাদের বিয়েটা হয়েছে ২৭ মে, ঢাকাতে। আমি শ্বশুরবাড়িতেই আছি এখন।

পূর্ণিমার ১ম স্বামী ফাহাদের বিষয়ে জানান তিনি, আমার সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর ধরে সম্পর্ক নেই। আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বাবা সে। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে কোনো কিছু জানাতে চাইনি। যাতে মেয়ের ওপর কোনো এফেক্ট না হয়। কিন্তু (নতুন সম্পর্কটি) আমার মেয়েও ভালোভাবে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছে। আর ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ঝামেলা ছিল, ঝামেলা না হলে তো কেউ সংসার ভাঙতে চায় না। সে কারণে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ, মেয়ে আমার সঙ্গেই আছে।

আরও পড়ুন: কে কতবার বিয়ে করবেন-বিচ্ছিন্ন হবেন— সেটা ব্যক্তিগত বিষয়

তিনি আরও বলেন, দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বিয়েটা হয়েছে আমাদের। বিয়ের পর উভয় পরিবারের অনেকে অসুস্থ থাকায় আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। ডিসেম্বরে বিবাহ-উত্তর সংবর্ধনা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। সেটা একেবারেই পরিবারিক আয়োজনে। চাচ্ছিলাম সব ধরনের নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে। কারণ, মানুষ নেগেটিভ ভাইব দিয়ে এসব নিউজ ক্যাশ করতে চায়, ওটাকেই ভয় পাচ্ছিলাম।

নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে পূর্ণিমা জানায়, আলহামদুলিল্লাহ সবার দোয়ায় আমরা খুবই ভালো আছি।


সর্বশেষ সংবাদ