নোবিপ্রবি ক্যাফটেরিয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর খাবারে পোকা, অতঃপর...

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফটেরিয়ায় অনিরাপদ খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ জুলাই) গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় নোবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীর খাবারে পোকা পাওয়া যায়।

দীর্ঘদিন মানসম্মত ক্যাফটেরিয়ার দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন এমন অনিরাপদ খাবার পরিবেশনের ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে নোয়াখালীবাসীর আতিথেয়তায় অর্জিত সম্মান ম্লান হতে চলেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছে। পোকা যুক্ত খাবারের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও।

জানা যায়, পরীক্ষা দিয়ে আসা এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়ে খাবার থেকে এই পোকা পান। পরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী কর্তব্যরত কর্মচারীকে ডেকে দেখান। এ ঘটনায় ক্যাফটেরিয়া মালিকের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি দায় এড়িয়ে যান বলে জানান ওই শিক্ষার্থী। খাবার পরিবর্তন করে দিলেও নিজেদের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে এটি হতেই পারে বলে জানান ক্যাফটেরিয়া মালিক।

আরও পড়ুন: জাদুঘরে ডাইনোসরের ফসিল দিলেন পাবিপ্রবি উপাচার্য

খাবারে পোকা পাওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, “দুপুরে বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার খাইতে যাই। এক পর্যায়ে পাশের পরীক্ষার্থীর ভাতে প্রায় এক আঙ্গুল সম-পরিমাণ একটি পোকা দেখতে পাই। এসময় প্রমাণসরূপ ছবি তুলে রাখেন আমার বন্ধু। তৎক্ষণাত আমি দায়িত্বরত মামাকে জানাই।”

এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরও দৃষ্টিগোচর হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সন্মান রক্ষার্থে ও শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় একটি মানসম্মত ক্যাফটেরিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

খাবারে পোকা পাওয়ার বিষয়টি ক্যাফটেরিয়ার একাউন্ট্যান্টকে জানালে তিনি  জানান, “এরকমটা হতেই পারে। অনেক সময় খাবার আনার সময় পোকা পড়ে যায় ভেতরে। আর আমার লস হওয়া সত্ত্বেও আমি সেই শিক্ষার্থীকে খাবার পরিবর্তন করে দিয়েছি।”

এ বিষয়ে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর  বলেন, “বিষয়টি দুঃখজনক! শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


সর্বশেষ সংবাদ