পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে তালা, আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে তালা, আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে তালা, আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  © সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, নিয়োগবাণিজ্য, স্বজনপ্রীতির অভিযোগসহ ১৭ দফা দাবি না মানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী রেজিস্ট্রার অফিসে তালা দিয়েছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তবে দপ্তরের ভেতরে কেউ আটকা পড়েননি। এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রার দপ্তরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ দফা দাবি কার্যকর না হওয়া পর্যন্তএই কর্মসূচি চলবে।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, করোনাকালীন অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস করা, উচ্চতর স্কেল প্রদান, অটো পদোন্নতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কমিটিতে কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করাসহ ১৭ দফা দাবি গত ২৪ জানুয়ারি লিখিতভাবে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। তিনি গত ২৯ জানুয়ারি কর্মকর্তাদের তার বাসভবনে ডেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন এবং পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা জানান।

আরও পড়ুন: পাবিপ্রবি ভিসির ১০১টি দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মানববন্ধন

তিনি বলেন, উপাচার্য দাবি পূরণ বা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেননি। তিনি মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তাদের। তাই বাধ্য হয়ে তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বলে জানান তারা। তবে রেজিস্ট্রার দপ্তরে কেউ আটকা পড়েননি। দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন ব্রহ্ম জানান, উপাচার্য অনিয়ম করে ব্যয় করা অনেক টাকা ফেরত দিয়েছেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর শাস্তি না হওয়ায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে স্বজনপ্রীতি, নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত জানা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রধান গেটে তালা দেওয়া রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ