কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আবেদন

মো. সেলিম হোসেন
মো. সেলিম হোসেন  © সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেন (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা শুকুর আলি খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলার আবেদন করেছেন। মামলার আবেদনে ৪৪ জন ছাত্রকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবারের আবেদনটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা যাবে কি না, তা পুলিশের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছিল এবং বিষয়টি তদন্তাধীন, সে কারণে আবেদনটি তাৎক্ষণিকভাবে মামলা হিসেবে গ্রহণ বা নথিভুক্ত করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জন আজীবন বহিষ্কার

শিক্ষক সেলিমের পিতা শুকুর আলির আবেদনে ৪৪ জন ছাত্রকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার আবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ৫ জানুয়ারি এই ৪৪ শিক্ষার্থীকে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। তাঁরা আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চার শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরছেন

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখনো ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগেই একটি সাধারণ ডায়েরি করা আছে। তাই আবেদনটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনের পিতা শুকুর আলি বলেন, আগেও একবার মামলার আবেদন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; তখন বলা হয়েছিল, আবেদনে ভুল আছে। আমরা আবেদন ঠিক করে আবারও খানজাহান আলী থানায় গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গিয়েছিলাম, কিন্তু মামলা নেওয়া হয়নি। ওসি সাহেব জানালেন, মামলা নেওয়া যাবে না। আমরা আবেদনটি রেখে এসেছি।


সর্বশেষ সংবাদ