আবাসিক হল বন্ধসহ ৫ দাবিতে উত্তাল বুটেক্স, ভিসি অবরুদ্ধ

আবাসিক হল বন্ধসহ ৫ দাবিতে উত্তাল বুটেক্স
আবাসিক হল বন্ধসহ ৫ দাবিতে উত্তাল বুটেক্স  © টিডিসি ফটো

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হল বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিনের মত আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়টি ভিসির কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার সকাল থেকে ভিসির কক্ষের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘‘রেজিস্ট্রার হটাও বুটেক্স বাচাও’’ স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া তারা তাদের দাবির বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরছেন।

আরও পড়ুন: করোনা: আবাসিক হল বন্ধসহ ৫ দাবি বুটেক্স শিক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- অবিলম্বে হলসমূহে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে হল বন্ধ করতে হবে;

অবিলম্বে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে নতুন রুটিনে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে ,অথবা বর্তমান রুটিনের প্রথম ২ টি পরীক্ষা পিছিয়ে বাকি পরীক্ষা গুলো পূর্বের রুটিন অনুযায়ী নিতে পারে।

করোনাকালীন সময়ে চলমান টার্ম পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই চলমান টার্মের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যেই আগামী টার্মের ক্লাস অনলাইনে শুরু করতে হবে এবং দিনপ্রতি অন্তত ৪টি এবং সর্বোচ্চ ৬টি ক্লাস নিতে হবে;

করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার দরুণ যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে আক্রান্ত বা সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে, তার এবং তার পরিবারের সার্বিক দ্বায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে;

আমাদের উপরোক্ত দাবিগুলো আমলে নিয়ে আজকের মধ্যেই মৌখিক স্বীকৃতি এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রশাসনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভার্সিটি ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সশরীরে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যেকোনো শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবো।

আরও পড়ুন: করোনাকালীন পরীক্ষার নীতিমালার দাবিতে রাস্তায় বুটেক্স শিক্ষার্থীরা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, এমনিতেই বুটেক্স প্রশাসনের গাফিলতির কারণে সেশন জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে চলমান ওমিক্রন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই, আমরা অনলাইনে অতিদ্রুত পরীক্ষার নীতিমালা ও রুটিন প্রকাশের দাবি জানিয়েছি।

আরও এক শিক্ষার্থী জানান, ইতোপূর্বে আমাদের ৪২ ব্যাচের পরীক্ষা সশরীরে শুরু হয়েছিল। পরে করোনার কারণে তা বন্ধ হওয়ায় তারা ৬ মাস পিছিয়ে পড়েছে। আমরা এর পূররাবৃত্তি চাই না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে পরীক্ষার সুস্পষ্ট নীতিমালা চাই।

এর আগে, গতকাল শনিবার ৫ দফা দাবিতে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে ভিসির আশ্বাসে অবস্থান থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ১১ জানুয়ারির পরীক্ষা মৌখিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা অফলাইনে নাকি অনলাইনে হবে, সেটি নিয়ে আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাব।


সর্বশেষ সংবাদ