যবিপ্রবি
শিক্ষকের পর এবার কর্মকর্তাকে পেটালেন আলোচিত সেই নিরাপত্তাকর্মী!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ১২:১২ AM , আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০, ১২:১২ AM
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত এক নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বদরুজ্জামান বাদল নামে ওই নিরাপত্তাকর্মী।
আজ সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপাচার্যের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ছিলেন। ঘটনার পর পুলিশ বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার দুপুরে যৌথসভা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
সভা শেষে দুপুর ২টার দিকে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসান নিজের কক্ষে যান। কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তাকর্মী বদরুজ্জামান বাদল, সেকশন অফিসার ইকবাল হোসেন, শাহীন হোসেন, এসএম হাসান আলী, মালি মোস্তাক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আরিফুল ইসলাম ওই কক্ষে গিয়ে কামরুল হাসানকে মারধর করেন। এসময় তারা কক্ষের টেবিল, চেয়ার, কম্পিউটার ও প্রিন্টার ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ গোলাম রব্বানী ও স্থানীয় সাজিয়ালি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে বাদলকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসান বলেন, সভা শেষে নিজ কক্ষে ফিরে আমি একটি চিঠির ড্রাফট করছিলাম। তখন ট্রেজারের অফিস কক্ষের সামনে বদরুজ্জামান বাদল চিৎকার করছিল। একটি ফোন আসায় আমি কথা বলা শুরু করি। একপর্যায়ে বাদল এসে আমাকে ফোন রাখতে বলে না হলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় এবং কিছু বুঝে ওঠার আগে চড় মারে। বাদলের সঙ্গে থাকা কয়েকজন চেয়ার ছুড়ে মারে এবং অফিসকক্ষ ভাঙচুর করে। আমাকে মারার জন্য তারা দরজায় তালা লাগানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু কর্মকর্তারা জড়ো হওয়ায় পারেনি। এ ঘটনায় উপচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবো এবং মামলাও করবো।
এদিকে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বদরুজ্জামান বাদল বলেন, কর্মকর্তা সমিতির নেতা কামরুল হাসান কর্মচারীদের গালিগালাজ করায় তার সঙ্গে তর্ক হয়েছে। কোনো মারধর বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মী বদরুজ্জামান বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনায় মামলা করলে গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত বাদল এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগে বহিষ্কার হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাত্র ১৪ দিন আগে সে পুনরায় চাকরিতে যোগ দিয়েছে। ফলে আজকের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, কামরুল হাসানের কক্ষে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তিনি (কর্মচারী) আগে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় চাকরি হারিয়েছিল। আদালতের আদেশে ফিরে এসে আবারও ঝামেলা শুরু করেছে। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।