কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ PM
অবশেষে কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। দীর্ঘ ২৩ বছর আগে প্রণীত আইনের আলোকে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন। অবকাঠামো, বিষয় চালু, পিডি নিয়োগসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। এগুলো বাদ দিয়ে ভিসি নিয়োগ হবে না কি আগে অবকাঠামো ঠিক করা হবে সেটি চূড়ান্ত করতে আলোচনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখা-২) নুমেরী জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হবে কি হবে না সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতনরা আলোচনা করছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’
এর আগে গত বছরের ১০ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন উপসচিব মোছা. রোখছানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ধারা ১ এর উপধারা ২ এর ক্ষমতা বলে সরকার ২২ মে ২০২৩ তারিখে ওই আইনটি কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করলো। উল্লেখ্য, আইনটির ওই ধারায় বলা হয়েছে সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিয়ে আইনটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষ দিকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি পাস করে। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আর চালু হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও এটাকে চালু করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তবে পুরাতন ওই আইনটিতে পাশ কাটিয়ে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ২০২০ নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রীসভায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনও দেয়। অবশ্য এর পর ওই আইনটি আর আলোর মুখ দেখেনি। অন্তর্বর্তী সরকার এখন ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করতে যাচ্ছে।