‘লিভ টুগেদার’ ইস্যুতে বিতর্কিত স্বাগতা, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ PM
সম্প্রতি ‘লিভ টুগেদার’ ইস্যুতে নিজের বক্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবল বিতর্কিত হয়েছেন অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। এবার ছোটপর্দার অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতার বক্তব্যের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আরিফুল খবির নামক একজন ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী এই নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন বলে স্বীকার করেন। যা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করেছেন তাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন এবং পাশাপাশি লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
যেহেতু আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণ রূপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করে অপরকে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।
যার কারণে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আপনার উক্তরূপ বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত প্রদান করেছেন।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এবং তা নোটিশ প্রদানকারী আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছেন, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। স্বাগতা অকপটে ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আর হাসান এক বছর লিভ টুগেদার করেছি। তারপর দু’জন দু’জনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি। আমাদের লিভ টুগেদারের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। যার ফলেই আমরা বিয়ে করি।’
অভিনেত্রী জানান, তাদের লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্তে পরিবারের কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দু’জনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল, তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নেও।’
স্বাগতা আরও বলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।’