চুয়েটের হলে মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন

স্লাইড শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থাপন করছেন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মইনুল ইসলাম
স্লাইড শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থাপন করছেন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মইনুল ইসলাম  © টিডিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের হলে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে এ মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীদের দুটি হলের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মোট ৮টি আবাসিক হলে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পেইনের শুরুতে মাদকের ভয়াবহতা এবং এর সাথে জড়িতদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আইনে কি কি শাস্তির বিধান রয়েছে, সে সম্পর্কিত একটি স্লাইড প্রদর্শন করা হয়। স্লাইডটি শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থাপন করেন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মইনুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, কোন শিক্ষার্থীর নিকট যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তার পরিমাণের ভিত্তিতে বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। কোন শিক্ষার্থীকে মাদকাসক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাকে ১ বছরের অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার এবং আজীবন আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, কোন শিক্ষার্থীকে মাদক সেবনরত অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে তাকে ২ বছরের অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার এবং আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, মাদক গ্রহণে কোন শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করলে তাকে ৬ মাসের জন্য অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার ও প্রথমবার শাস্তিপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার শাস্তির আওতায় আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেকোনো কাউকে কোন ধরনের মাদক বহন বা সেবনরত অবস্থায় পাওয়া গেলে মাদক প্রতিরোধ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা।

এ বিষয়ে সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ডিন সুদীপ কুমার পাল। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মাদকের গ্রাস থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার তাগিদে এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হলগুলোতে মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। একই সাথে মাদক কান্ডে জড়িতদের শাস্তির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সম্পর্কেও তাদেরকে অবহিত করেছি। আমরা লিফলেট বিতরণ এবং ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে মাদকবিরোধী ব্যানার, পোস্টার লাগিয়েও সচেতনতা তৈরির কাজটি চালু রাখবো।

তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পেইনের পর থেকে আমরা হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা অভিযান শুরু করবো। এতে কোনো শিক্ষার্থীকে মাদকের সাথে জড়িত পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আশা করছি, সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা একটি মাদকমুক্ত চুয়েট সবাইকে উপহার দিতে পারবো।

তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আল মোহাইমিন আরফিন বলেন, প্রশাসন কর্তৃক এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে আমরা এর যথাযথ বাস্তবায়ন চাই।


সর্বশেষ সংবাদ