পদত্যাগ না করায় উপাচার্যের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে দিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ AM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৫ AM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেও নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে নামফলক থেকে নাম সরিয়ে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সমন্বয়কদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবির দেওয়া ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা প্রক্টর, প্রভোস্টসহ ৯ জন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন নোবিপ্রবির কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসেন চৌধুরী।
পদত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. রুহুল আমিন, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তী বড়ুয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মহিনুজ্জামান।
এর আগে গত বুধবার (৭ আগস্ট) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টদের ২ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও প্রতিবাদ স্বরূপ তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার এর কক্ষের প্রধান গেইটের তালা দেয় এবং পাশাপাশি উপাচার্যের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে ফেলে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক অন্যতম সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন বলেন, আপনারা জানেন এই খুনি প্রশাসন নির্লজ্জের মত। তাদেরকে ছাত্র সমাজ ৪৮ ঘন্টার সময় দেওয়ার পরও তারা নির্লজ্জের মত পদত্যাগ করেনি। আমরা ছাত্রসমাজ তাদেরকে দেখে নিব। আমরা বলতে চাই আগামীকাল বিকাল চারটার মধ্যে ভিসিও অন্যান্যরা যদি পদত্যাগ না করে তাহলে আমরা তাদেরকে অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কার ঘোষণা করবো।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির আরেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মাহদী বলেন, ভিসি ও অন্যান্যরা যারা এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন তারা নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এই অনলাইন ক্লাসের মতো এই হটকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা এই হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অন্যায় ও অবিচার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করব এবং আপনারা কেউ কারো প্ররোচনার স্বীকার হবেন না। যদি স্বীকার হন তাহলে আপনাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বয়কট করবে।