মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু মার্চে, দরপত্র আহবান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নকশা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নকশা  © সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে হামিদচর এলাকায় নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ১০৬ দশমিক ৬ একর মাটি ভরাট করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাসে এ কাজ শুরু হতে পারে। এটি দেশের একমাত্র পাবলিক মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন হয়। এরপর ২০১৫ সালে ঢাকার মিরপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে বিশ্বের ১২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালে বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদনের পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। 

প্রজেক্ট ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসীম মাকসুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বাউন্ডারি ওয়াল, একটি ছয় তলা একাডেমিক ভবন, একটি ছয় তলা প্রশাসনিক ভবন, একটি ছয় তলা ছাত্রী হল, একটি ছয় তলা ছাত্র হল, একটি চার তলা রেস্ট হাউজ ও চেকপোস্ট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

ই-জিপি পোর্টাল (http://www.eprocure.gov.bd) থেকে জানা গেছে, স্থাপনাগুলোর কাজ শুরুর সম্ভাব্য সময় ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল ধরা হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস। টেন্ডারের তথ্য অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের অক্টোবরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের এসব স্থাপনার কাজ শেষ হবে।

আরো পড়ুন: আজ চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশন

তবে কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হবে, এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা একাধিকবার স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।

উল্লেখ্য, টেন্ডারগুলি ই-জিপি পোর্টালে গ্রহণ করা হবে এবং কোনো অফলাইন/হার্ড কপি গ্রহণ করা হবে না। ই-টেন্ডার জমা দিতে, জাতীয় ই-জিপি সিস্টেম পোর্টালে (http://www.eprocure.gov.bd) নিবন্ধন করতে হবে। পোর্টালে বিস্তারিত তথ্য এবং নির্দেশিকা পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ